আখাউড়ায় প্রতিক নিয়ে জোড়েসোরে মাঠে নেমেছে প্রার্থীরা
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রার্থীতা প্রত্যাহার আর প্রতীক বরাদ্বের পর আখউড়ার পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রচার অভিযান জোড়েসোরেই শুরু করছে। প্রতিক পাওয়ার আগে থেকেই প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও প্রতিক পাওয়ার পর তা আরো বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা। দিনরাত চলছে অবিরাম ভোটারদের কাছে ছুটে যাওয়া। ভোট প্রার্থনা ছাড়াও চলছে নানান প্রতিশ্রুতি।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্ধের পর থেকে নির্বাচনের প্রচার অভিযান আরো বেড়ে গেছে। নির্বাচনে আওয়ামীলী ও বিএনপির প্রতিক আগে থেকেই নির্ধারন থাকায় প্রচারে অনেকাংশে এগিয়ে ছিলেন প্রধান দুই দলের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। তাই তাদের প্রচারনা অনেকটাই এগিয়ে আছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা প্রতিক পাওয়ার আগে থেকে প্রচারনা চালিয়ে গেলেও প্রতিক পাওয়ার পর তাদের প্রচারনা অনেকটা বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল জানান, প্রতিক পাওয়ার আগে আমরা আমাদের প্রচারনা চালিয়ে গেলেও কাউকে আমাদের প্রতিক বলতে পারি নাই তাই আমরা অনেকটাই পিছনে ছিলাম। এখন প্রতিক পেয়েছি তাই সবাইকে আমার প্রতিক বলতে পারছি।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সোহেল ভ’ইয়া জানান, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা আগে থেকেই ভোটারদের কাছে প্রতিক বলতে পারায় তারা অনেকটাই এগিয়ে আছে। তবে ভোটাররা য্যো প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামীলীরে মনোনয়নপ্রাপ্ত মেয়র প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, প্রতিক আগে পাওয়া না পাওয়া নয়। ১৪ তারিখ প্রতিক ঘোষনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারনায় নামতে পেরেছি। এর আগে শুধুমাত্র উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে গেছি।
আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ ডিসেম্বর সোমবার রিটানিং অফিসার মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সকল মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ করেন। আওয়ামীলীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী মো. তাকজিল খলিফা কাজল (নোকৗ), বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হাজী মো. মন্তাজ মিয়া (ধানের শীষ), মো. সোহেল ভূইয়া (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল (মোবাইল) ও সালাহ উদ্দিন আল হোসাইন চৌধুরী (রেলগাড়ি) প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে প্রতীক দেয়া হয়েছে।