কলাবাগানে সম্পূর্ণ টার্গেট কিলিং : ডিএমপি কমিশনার
---
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কলাবাগানে জোড় খুন প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে দেখে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে এটা সম্পূর্ণ একটা টার্গেট কিলিং ছিল। তবে এটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছিল কি না, কোনো দেনা-পাওনার বিষয় ছিল কি না, জঙ্গি সম্পৃক্ততা ছিল কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
আজ সোমবার কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে ‘রূপবান’ পত্রিকার সম্পাদক ও উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তনয় নামের এক ব্যক্তিকে। তেঁতুলতলার আসিয়া নিবাস নামের সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় খুন হন জুলহাজ মান্নান ও তনয়।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান। নিহত জুলহাজ ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজীনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্য কী ছিল তা বোঝার চেষ্টা করছি। কারা করেছে সে ব্যাপারে যে তথ্য, প্রমাণ এবং আলামত আমরা পেয়েছি এগুলো আমরা যাচাই বাছাই করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে দেখে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে এটা সম্পূর্ণ একটা টার্গেট কিলিং ছিল। সুতরাং তাকে হুমকি দিয়েছিল কি না, অথবা এটা জঙ্গি কানেকশন ছিল কি না, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে মন্তব্য করা যাবে না। তবে এটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছিল কি না, কোনো দেনা পাওনার বিষয় ছিল কি না জঙ্গি সম্পৃক্ততা ছিল কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, খুনিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় টহলরত পুলিশ বাধা দিলে তাদের হাতে মমতাজ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হন। আর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী পারভেজ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আরো একটু সময় লাগবে। আমরা একেবারে প্রথম স্টেজে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনো আলামত আমরা সংগ্রহ করছি। আলামত সংগ্রহের পরে এবং অন্যান্য এভিডেন্সের পরে আমরা বলতে পারব যে ইতোপূর্বে সংগঠিত ঘটনার সঙ্গে এর কোনো মিল রয়েছে কি না।’
আগামী কাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে জুলহাজ ও তনয়ের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।