বুধবার, ২৮শে জুন, ২০১৭ ইং ১৪ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

৪ রাজাকারের ফাঁসি, একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩, ২০১৬

---

samsu___111507নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের শামসুদ্দিন আহমেদসহ চার রাজাকারের ফাঁসি ও একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের দুই সহোদর অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন, রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান ও হাফিজ উদ্দিন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার অন্য আসামি আজহারুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই মামলার ওই পাঁচ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন শামসুদ্দিন আহমেদ। বাকি চারজন পলাতক।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে ৩৩০ পৃষ্ঠা রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু হয়। এসময় পাঁচ আসামির মধ্যে কেবল শামসুদ্দিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তার ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, গাজী আব্দুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়েই রায় ঘোষণা করছে ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের সূচনা বক্তব্যের পর বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী ৩৩০ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ পড়া শুরু করেন। এরপর বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম রায়ের বাকি অংশ পড়েন। সবশেষ বিচারপতি আনোয়ারুল হক সাজা ঘোষণা করেন।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি ২৩তম রায়।

গত ১১ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। সে অনুযায়ী রায়ের জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়।

২০১৫ সালের ১৩ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

এ জাতীয় আরও খবর