g শত গরমেও গলবে না যে আইসক্রিম | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ৬ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২১শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শত গরমেও গলবে না যে আইসক্রিম

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২৫, ২০১৬

---

23920-akulloreঅনলাইন ডেস্ক : গরমে আইসক্রিম দ্রুত গলে যাবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এমন আইসক্রিম বাজারে পাওয়া যায়, যেটি খুব গরমেও গলবে না, তাহলে কেমন হয়? এটি এখন আর কল্পনা নয়। সত্যিকার অর্থেই এমন আইসক্রিম বাজারে নিয়ে এসেছে একটি কোম্পানি। গ্যাস্ট্রোনট নামের ঐ আইসক্রিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

এটি বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কোনো তাপমাত্রায় খেতে পারবেন আপনি; গলবে না। অর্গানিক এই আইসক্রিম প্রচলিত আইসক্রিমের চেয়ে বেশ ভিন্ন। হাত দিয়ে এটি ভেঙে খাওয়া যাবে। অর্থাৎ চাইলে বিস্কুটের মতো টুকরো টুকরো করেও খেতে পারবেন। তাই বলে এর স্বাদ যে ভিন্ন হবে তা নয়, চির চেনা আইসক্রিমের স্বাদই পাবেন আপনি। বিশেষ এই আইসক্রিম তৈরি করতে প্রথমে ফ্রিজ ড্রাই করা হয়। তারপর ডি-হাইড্রেড করা হয়। পরে শুধু এক চিমটি লবণ দেয়া হয় তাতে। সে হিসেবে এটি বিশ্বের প্রথম ফ্রিজ ড্রায়েড আইসক্রিম যেটি তীব্র গরমেও গলবে না।

ফ্রিজ ড্রাই মানে হলো প্রথমে একটি খাদ্য বরফে পরিণত করা। এরপর তাতে তাপ দিয়ে বরফ হয়ে যাওয়া তরল বাষ্পে পরিণত করা। গ্যাস্ট্রোনট কোম্পানি বর্তমানে মেক্সিকান চকোলেট চিপ, কুকিজ অ্যান্ড ক্রিম ও মিন্ট চকোলেট চিপ নামে তিনটি সুস্বাদু ফ্লেভারে আইসক্রিম তৈরি করছে। কোম্পানির কর্ণধার রব কলিগনন বলেন, ‘এটি বিশ্বের একমাত্র প্রিমিয়াম অর্গানিক ফ্রিজ ড্রায়েড আইসক্রিম। মহাকাশে যাওয়া নভোচারীদের জন্য ফ্রিজ ড্রায়েড আইসক্রিম পরিচিত একটি খাবার। আমি অনেকবার এই আইসক্রিম খেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমাদের নতুন এই আইসক্রিমের মতো সুস্বাদু ছিলো না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার পছন্দ পাল্টেছে। আমি এখন প্রিজারভেটিভ ও রং ছাড়া অর্গানিক খাবার পছন্দ করি। এ কারণে এই আইসক্রিম তৈরির ব্যাপারে আমার পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি। এটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদুও।’

নিউইয়র্কের ৩৪ বছর বয়সী রব কলিগনন নতুন এই আইসক্রিম বাজারে নিয়ে আসার আগে সাড়ে তিন বছর এ নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি ওয়েবসাইট কিক স্টার্টারে এ জন্য ফান্ড রাইজিং ক্যাম্পেইন গড়ে তোলেন। এ পর্যন্ত তাতে সংগ্রহ হয়েছে সাড়ে নয় হাজার ডলার। কলিগন আরো বলেছেন, ‘ব্রুকলিনে আমার অ্যাপার্টমেন্টে আইসক্রিম তৈরির কাজ শুরু করি আমি। আমার কিচেনের অর্ধেক অংশজুড়ে একটি মেশিনে ঐ আইসক্রিম ফ্রিজ-ড্রাইয়ের কাজ করি। মেশিনটি অনেক শব্দ করলেও সৌভাগ্যবশত কোনো প্রতিবেশী এ নিয়ে অভিযোগ করেনি। আমার বন্ধু ও কলিগরা ঐ আইসক্রিম পছন্দ করেছিলো। তাই বিষয়টিতে মনোনিবেশ করি। গত বছর চাকরি ও অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে সব কিছু নিয়ে একটি ভ্যানে উঠি আমি। ব্যবসার খাতিরে আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায় ২০ হাজারের মতো পথ পাড়ি দেই। পরে নিউইয়র্কে গিয়ে স্থির হই।’

এরপর তো আইসক্রিমের ইতিহাসে একটা বিপ্লবই নিয়ে এলেন তিনি। গ্যাসট্রোনমি এবং ফ্রিজ ড্রায়েড অ্যাস্ট্রোনট আইসক্রিম থেকে দুটো শব্দ নিয়ে ‘গ্যাসট্রোনট আইসক্রিম’ নাম রাখা হয়েছে। এখন বাজারে এই আইসক্রিম বার পাওয়া যাচ্ছে ৬ ডলারে। অচিরেই গ্যাসট্রোনট আইসক্রিম ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এটি।