বৃহস্পতিবার, ৬ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২২শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন ঢাকা বাহিরে

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬

---

যাব যাব করেও যাওয়া হচ্ছিল না। এবার যেহেতু ছুটি পেয়েছেন, বেড়িয়ে আসুন না। দেশের মধ্যেই রয়েছে আয়েশ করে বেড়ানোর মতো অনেক হোটেল ও রিসোর্ট। আশপাশের এলাকা দেখার পাশাপাশি হোটেল বা রিসোর্টগুলোতেও পাবেন ভরপুর বিনোদন। ছবি দেখা, পুল খেলা, গলফ খেলা, সাঁতার, কেব্‌ল কার, কায়াকে রাইড, স্পিডবোট—কী নেই। আপনার ঈদের ছুটিকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন দেশের এমনই কিছু জায়গায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের কিছু হোটেল ও রিসোর্টের খোঁজ রইল এখানে।



দ্য প্যালেস রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় গড়ে উঠেছে এক আধুনিক পাঁচ তারকা রিসোর্ট—দ্য প্যালেস। পাহাড়চূড়ায় ঘুমিয়ে মেঘের সঙ্গে মিতালি করে আসতে পারেন এই রিসোর্টে গিয়ে। থাকা-খাওয়ার সব সুবিধা থাকছে রিসোর্টেই। আছে বেড়ানো ও খেলাধুলা করে সময় কাটানোর ব্যবস্থাও। যাওয়ার আগে আরও ভালো করে জানতে চাইলে কথা বলে নিতে পারেন। ফোন: ০১৯১০০০১০০০


পাহাড়ি সবুজঘেরা গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টে আছে আধুনিক সেবা। ছবি: পল্লব মোহাইমেনগ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের ঠিকানা। পাহাড়ি টিলার আঁকেবাঁকে থাকার মজা নিতে পারবেন এখানে। পুলে সাঁতার কাটা, মুভি দেখা বা গলফ খেলার মতো নানা সুবিধা মিলবে এখানে। খেতে পারবেন দেশি-বিদেশি নানা পদের খাবার। ফোন: ০১৭৩০৭৯৩৫৯৬-৭


সায়মন বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজারের কলাতলীর মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সায়মন। হোটেলের সুইমিং পুলটি বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়বে আপনার। সমুদ্র সমতলে পুল হওয়ায় মনে হবে আপনি সমুদ্রের একাংশেই সাঁতার কাটছেন। এখানে সম্প্রতি চালু হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি হল। তাই নতুন চলচ্চিত্র দেখতে হলেও এখানে ঘুরে আসতে পারেন। ফোন: ০১৭৫৫৬৯১৯১১


দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল রোডের নাইটেশ্বরে অবস্থিত এই রিসোর্ট। দুসাইতে পৌঁছানোর পর আপনার মন ভালো হতে সময় লাগবে না। ফোনে রুম বুক করে বেরিয়ে পড়তে পারেন পাহাড়ি এই রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। ফোন: ০১৭৩০৭৯৩৫৯৬


হোটেল সিগাল

কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত। এটিও পাঁচ তারকা হোটেল। কেনাকাটা করার জন্য হোটেলের মধ্যেই দারুণ সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া হোটেলের সবুজ ঘাসে বারবিকিউ আয়োজন করতে পারেন। ফোন: ০১৭৬৬৬৬৬৫৩০
আয়েশ করে সমুদ্র দেখতে আছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। ছবি: সংগ্রহমারমেইড বিচ রিসোর্ট
হিমছড়ি আর ইনানি বিচের মাঝামাঝি পথের ধারেই ইশারা দেবে মারমেইড। ভেতরে ঢুকলেই দেখবেন এক নতুন জগৎ! ঈদের ছুটিতে সমুদ্রে পা দুলিয়ে বসা, খাওয়া বা ঘুমানোর মতো নানা ধরনের সুবিধা মিলবে মারমেইডে। তাদের আরও একটি ইকো রিসোর্ট রয়েছে এই রোডের প্যাঁচার দ্বীপে। থাকতে পারেন সেখানেও। ফোন: ০১৮৪১৪১৬৪৬৮৬৯


রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানিতে সমুদ্রের পাশ ঘেঁষে এই পাঁচ তারকা রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এখানে আধুনিক সেবার রুম ও সুইমিং পুল মিলবে। আছে খেলাধুলা ও বিনোদনের নানা সুবিধা। সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে আপনার সময়টা মন্দ কাটবে না। ফোন: ০১৯৭০৬৬০০৬৬


সাজেক ভ্যালি

খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে গেলেও পাবেন মেঘের দেখা। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিতে পারে আপনার শরীর। মনও ভিজবে। এখানে সেনাবাহিনীর পরিচালনায় বিশেষ একটি রিসোর্ট রয়েছে। তবে যাওয়ার আগে রুম বুক করে না গেলে বোকামি হবে। কারণ, এখানে সব সময় মানুষের ভিড় থাকে।


সাইরু হিল রিসোর্ট

বান্দরবান শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে চিম্বক রোডে পড়বে নতুন এই রিসোর্টটি। মোট ২৪টা রুম আছে এখানে। থাকার পুরো বন্দোবস্ত পাহাড়ের ওপরে। সমুদ্র উপকূল থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে কোমল মেঘ আপনার গা ছুঁয়ে যাবে ক্ষণে ক্ষণে। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় চলছে সাইরুতে। ফোন: ০১৭২০৯৮২৮৩৭


নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকায় এই রিসোর্টের অবস্থান। শালবন, দোলনা, ঝরনা, সুইমিং পুল, শানবাঁধানো ঘাট আর কটেজ—সবই পাবেন এখানে। ফোন: ০১১৯৫৩৫৬১৬৫


অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব

নড়াইলের পানিপাড়া গ্রামের মধ্যে গড়ে উঠেছে চমৎকার এই রিসোর্ট। এখানে কটেজ ছাড়াও আছে বোট হাউস। জলে আর স্থলে সময়টা ভালো কাটবে এখানেও। আছে গলফ খেলার ব্যবস্থাও। ফোন: ০১৭১১৬৯৩৭৮৮


শালবনের মধ্যে গ্রিনটেক রিসোর্টে পুকুরের ওপর কটেজ। ছবি: পল্লব মোহাইমেনগ্রিনটেক রিসোর্ট

এই রিসোর্টটাও গাজীপুরে। জেলার ভবানীপুরে শালবনের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা আছে গ্রিনটেক রিসোর্টে। আছে সুইমিং পুল ও আধুনিক সেবাসহ কক্ষ। ফোন: ০১৭৭৭৭৩৭৩৫১


পাকশী রিসোর্ট

পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে এই রিসোর্ট। পদ্মা নাদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টে থেকে দেখতে পারেন পদ্মার ঢেউ। ফোন: ০১৭৩০৭০৬২৫৩

এবার আর দেরি কেন? বেরিয়ে পড়ুন ব্যাগ গুছিয়ে। আর ঈদের ছুটিকে আরও আনন্দময় করে চাঙা হয়ে ফিরুন।