কাতারে আফগান সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠকের খবর প্রত্যাখ্যান তালেবানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :কাতারের দোহায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার খবরটি অস্বীকার করেছে তালেবান। মঙ্গলবার আফগান সরকার ও তালেবান সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম তাদের দুই পক্ষের মধ্যে গোপন আলোচনা চলার খবরটি ফাঁস করেছিল।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়,সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দুই দফায় আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকগুলোতে উপস্থিত হওয়াদের মধ্যে সাবেক তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের ভাই মোল্লা আব্দুল মান্নান আখন্দও ছিলেন। এক ড্রোন হামলায় তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে শান্তি আলোচনা ভণ্ডুল হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে এটাই প্রথম আলোচনা। তালেবানের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান জানিয়েছে,কাতারের দোহায় হওয়া ওই আলোচনায় শিগগিরই মোল্লা ওমরের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াকুব-এর যোগদানের কথা রয়েছে বলে জানানো হয়। ওই বৈঠকে আফগানিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ মাসুম স্তানেকজাই-এর সঙ্গে মোল্লা আব্দুল মান্নান আখন্দ মুখোমুখি হন বলেও দাবি করে গার্ডিয়ান।
তবে বুধবার এক বিবৃতিতে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এ ধরনের কোনও বৈঠক হওয়ার খবর নাকচ করে দিয়েছেন। বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন খবরটি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে মুজাহিদ বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাতের (তালেবানের) কোনও প্রতিনিধি স্তানেকজাই কিংবা অন্য কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেননি। আলোচনার ব্যাপারে আমাদের অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। আমাদের এ ব্যাপারে নীতিমালা খুব পরিষ্কার।’
তালেবান সূত্রকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকটি ইতিবাচক ও জটিলতামুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের বিরামহীন সংঘর্ষের মধ্যেই অক্টোবরের শুরুর দিকে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়। স্তানেকজাই সম্প্রতি দোহায় অন্তত একটি সফর করেছেন বলে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করলেও আশরাফ ঘানির মুখপাত্র এবং শান্তি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক আফগান কর্মকর্তা এ ধরনের বৈঠক সম্পর্কে জানার খবরটি তখনই অস্বীকার করেন বলে জানিয়েছিল গার্ডিয়ান।
তালেবানের নেতৃত্ব পরিষদ কোয়েটা শুরার এক সদস্য জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে হওয়া দুই দফার আলোচনায় কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তার উপস্থিতি ছিল না। তবে কাতারের বৈঠকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছে তালেবান। অবশ্য, এ দাবির ব্যাপারে আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাস কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে তখনই জানিয়েছিল গার্ডিয়ান।