বৃহস্পতিবার, ৬ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২২শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্তের পথে বন্যপ্রাণী চিতা

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬

---

ক্ষিপ্রগতির জন্য বিখ্যাত বন্যপ্রাণী চিতাবাঘ বিলুপ্তের পথে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, প্রাণীটির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। গবেষণার হিসেব অনুসারে, বিশ্বজুড়ে বনে জঙ্গলে এখন মাত্র সাত হাজার ১শ’টি দ্রুতগামী চিতাবাঘ টিকে রয়েছে।

মূলত, বন্য প্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ৭৭ শতাংশ চিতাবাঘের বসবাস। আর এ কারণেই বারবার এই প্রাণীটি মানুষের নির্মমতার কবলে পড়ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য মাঠ ও বনগুলো উজাড় হচ্ছে। ফলে একদিকে দখল হচ্ছে চিতাবাঘের বাসস্থান এবং তেমনি কমছে তাদেরও শিকারও। আর এ কারণেই বিপদে পড়ে গেছে বিশ্বের দ্রুততম এই স্তন্যপায়ী প্রজাতি।

গবেষকরা তাই চিতাবাঘকে জরুরি ভিত্তিতে ‘নাজুক’ থেকে ‘বিপন্ন’ প্রজাতির প্রাণীর শ্রেণীতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।

ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে যে পরিমাণ চিতাবাঘ টিকে আছে, এর অর্ধেকের বেশি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি দেশ জুড়ে বসবাস করে। এশিয়া থেকে চিতাবাঘের অস্তিত্ব প্রায় মুছেই গেছে। জিম্বাবুয়েতে গত ১৬ বছরে চিতাবাঘের সংখ্যা এক হাজার দুশো থেকে কমে মাত্র ১৭০-য়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রাণীগুলোর আবাসস্থল ও শিকারের ভূমি দখল।

গবেষণাটির প্রধান জুয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন-এর ড: সারাহ ডুরান্ট বলেন, “গোপনে থাকার স্বভাব এই প্রাণীটির। আর এ কারণে এ প্রাণী সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয় না। আর এ কারণেই তারা যে হারিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়গুলোও চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে”।

বাসস্থান এবং খাদ্যসংস্থান ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে চিতাশাবক পাচার ও চামড়ার জন্য চিতাবাঘ হত্যা প্রাণীটিকে বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত করার পেছনে অনেক বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে জানান ডুরান্ট।

এ জাতীয় আরও খবর