g বাঞ্ছারামপুরে সুজন বাহিনীর প্রধান দূর্ধষ সুজন অবশেষে গ্রেফতার : কনষ্টেবল গুরুতর আহত | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৯শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে সুজন বাহিনীর প্রধান দূর্ধষ সুজন অবশেষে গ্রেফতার : কনষ্টেবল গুরুতর আহত

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭

---

সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে অবশেষে এক নাটকীয় ও রুদ্ধশ্বাস পুলিশী অভিযানে কুখ্যাত সুজন বাহিনীর প্রধান,শিশু অপহরনকারী,দূর্ধষ ডাকাত মোঃ সুজন হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করতে যেয়ে আহত হয় ২ পুলিশ। তারা হলেন এসআই শাহ্আলম ও কনষ্টেবল সাদ্দাম হোসেন।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারাপুর মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহত্তর কুমিল্লায় ডাকাত ও শিশু অপহরনকারী হিসেবে চিহ্নিত ত্রাস হিসেবে পরিচিতি দূর্ধষ সুজনের অবস্থান জানতে পারে।পরে গত (৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টা) মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি অংশু কুমার দেবের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে দুর্ধষ সূজন হোসেন পুলিশ বাহিনী স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (এসএএফ) এর সদস্য সাদ্দাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করে। তাৎক্ষনিক সময়ে কনষ্টেবল গুরুতর আহত হওয়ায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়লে সুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।খবর পেয়ে জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি চিত্ত রঞ্জন পাল বাঞ্ছারামপুরে এলে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি অংশু কুমার দেবসহ পুলিশের একটি বিশেষ টীম সুজনকে গ্রেফতারে হন্যে হয়ে খুজতে থাকে।

বিশেষ টীমটি ১২ ঘন্টার এক বিশেষ রুদ্ধশ্বাস অভিযানে আজ বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার সোবহানিয়া মাদ্রাসার পেছনের গোপন স্থান থেকে গ্রেফতার করতে গেলে ডাকাত সুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে তার পায়ে গুলি করলে,পরে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এই অভিযানেও এসআই মোঃ শাহ আলম সুজনকে ধরতে যেয়ে পায়ে আঘাত পান। তিনি বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতাল হতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি অংশ কুমার দেব জানান,ডাকাত সুজনকে গ্রেফতার অভিযানে সুজনের ছুরির আঘাতে বুকে ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত কনষ্টেবল সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সুজনকে ধরতে যেয়ে এসএএফ সদস্য কনষ্টেবল মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে পরে আজ সকালে পায়ে গুলি করে তাকে আটক করা হয়েছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,কেবল বাঞ্ছারামপুর থানাতেই সুজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি,মাদক,চুরী,অপহরন ও চুরি সহ ৫ মামলা রয়েছে। দুর্ধষ সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, দির্ঘদিন ধরে- সুজন বহু মায়ের বুক খালি করে শিশুদের অপহরন করে,মুক্তিপণ আদায়, শিশু পাচার, ডাকাতি, মাদক বানিজ্য, ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলো। ভাড়াটে খুনী হিসেবে বৃহত্তর কুমিল্লায় চিহ্নিত। জানা গেছে, বৃহত্তর কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় দূর্ধষ সূজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।পুলিশ বলছে, আমরা আটক সুজনের বিষয়টি সব থানাকে জানিয়ে দিয়েছি। তার সব অপকর্ম খতিয়ে দেখছি।
এদিকে,সুজনের আটকের খবরে,গোটা বাঞ্ছারামপুর,নবীনগর,হোমনাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার মানুষ আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। দুর্ধষ সুজনকে এক নজর দেখতে আজ বুধবার সদর হাসপাতালে হাজারো মানুষ ভীড় জমাতে দেখা যায়।খোজ নিয়ে জানা গেছে, আটক সুজনের পিতা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম চিহ্নিত ডাকাত ছিলো।

এ জাতীয় আরও খবর