g ‘মূর্তি’ না সরালে ফের শাপলা চত্বর হবে-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুনায়েদ বাবুনগরী | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ১০ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২৫শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

‘মূর্তি’ না সরালে ফের শাপলা চত্বর হবে-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুনায়েদ বাবুনগরী

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ না সরালে আবারও ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেবে তৌহিদী জনতা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এই ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলনে বক্তব্য দেন বাবুনগরী।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আমি আশা করব, অবিলম্বে মাননীয় সরকার, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এই গ্রিক দেবীর মূর্তি সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখ থেকে সরাতে হবে, হবে হবে ইনশাল্লাহ। আর যদি এই গ্রিক দেবীর মূর্তি সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখ থেকে সরানো না হয়, ১৬ কোটি তৌহিদী জনতাকে নিয়ে আরেকবার শাপলা চত্বরের সূচনা হবে ইনশাল্লাহ।’

বাবুনগরী বলেন, ‘কোনো গ্রিক দেবী ন্যায়ের প্রতীক হতে পারে না। ন্যায়ের প্রতীক হচ্ছে পবিত্র আল কোরআন। আশা করি সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে।’

অনুষ্ঠানে মাওলানা শরীফ উদ্দিন আফতাবীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমানসহ শীর্ষ আলেমরা।

সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধ লাখ লোকের সমাগম ঘটে।

সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি দেয় কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে ফোয়ারায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর মৃণাল হক। ভাস্কর্যটিতে একজন নারী ডান হাতে তলোয়ার বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তলোয়ারটি নিচের দিকে নামানো আর দাঁড়িপাল্লা উপরে ধরে আছেন।

এই ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকেই ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠন তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে।

হেফাজতে ইসলামের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনে বাংলাদেশের জনগণ বিস্মিত হয়েছে। এই মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।’

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘১৯৪৮ ইং সালে এই কোর্ট (সুপ্রিম কোর্ট) স্থাপিত হয়। ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ছিল ‘দাঁড়িপাল্লা’। ৬৮ বছর ধরে কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। ৬৮ বছর পর হঠাৎ করে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লার জায়গায় গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে কী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, সেটা জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কী বিগত ৬৮ বছর সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার হয়নি?’

প্রসঙ্গত, ১৩ দফা দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করে এবং ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে।

এই সমাবেশে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। ওই দিন বিকেল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা। এতে হেফাজতে ইসলামের কর্মী, পুলিশ, বিজিবি সদস্যসহ অনেকেই নিহত হয় এবং সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, ওই দিন শিল্প ব্যাংকের পাশে সরকারের পরিবহন পুলে রাখা ৪০টি বাসসহ বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররা ক্ষতিগ্রস্ত হন সেদিনকার ধ্বংসযজ্ঞে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা সেদিন অবরোধ সৃষ্টির জন্য পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭০টি গাছ এবং পল্টন মোড় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গাছ কেটে ফেলে।

শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরাতে ৫ মে গভীর রাতে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

ntvbd.com

এ জাতীয় আরও খবর