বুধবার, ৫ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২১শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কসবায়  সংবাদ সম্মেলন : গ্রাম্য সালিশে দুই কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করা হয়নি

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৪, ২০১৭
news-image

---

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে দুই কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করা হয়নি। এরা বখাটে ও মেয়েদের উত্যক্ত করায় পরিবারের লোকজনই তাদের মাথা ন্যাড়া করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দি হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে জনার্কীণ সংবাদ সম্মেলনে দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন।
কসবার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম মান্নান জাহাঙ্গীর ও আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল ভূইয়া যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন; প্রায় ৬ মাস পূর্বে কসবার গোপীনাথপুর গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের হারুন মিয়া ও পারভেজ মিয়াসহ আরও কয়েকজন যায়। ওই বিয়ে অনুষ্ঠানে হারুন, পারভেজ ও সহপার্টিরা মিলে একটি মেয়েকে উত্যক্ত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের কয়েকজন ছেলে তাদের মারধর করে।
এ ঘটনার রেষধরে ২০ এপ্রিল গোপীনাথপুর গ্রামের মো. আরিফ মিয়া মনিয়ন্দ এলাকায় আসলে হারুন ও পারভেজসহ কয়েকজন মিলে তাদেরকে মারধর করে। পাল্টাপাল্টি মারধরকে কেন্দ্র করে কসবা ও আখাউড়ার দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর নতুন বাজারে এক সালিশ সভা বসে। এ সালিশ সভায় গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান এর সভাপতিত্বে আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল ভূইয়াসহ দুই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আরিফ মিয়াকে মারধরের চিকিৎসা বাবদ হারুন ও পারভেজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুই চেয়ারম্যান আরো বলেন; ওরা দু’জনই বখাটে। তারা বিভিন্ন মেয়েদের উত্যক্ত করে। নেশা করার কথা শালিস বৈঠকেও স্বীকার করেছে। শালিস সভায় উপস্থিত থাকা তাদের অভিভাবকরাই তাদের মাথা ন্যাড়া করেছেন।
সম্মেলনে আরো বলেন; জনপ্রতিনিধিদের হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রি মহল দুই বখাটেকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবী করে শালিসের মাধ্যমে দুই তরুনকে মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে এমন সংবাদ গনমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ছাত্রলীগের সাথে ওদের কোন সম্পর্ক নেই এবং সালিস সভায় মাথা ন্যাড়া করার কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাজিব ভূইয়া বলেন; হারুন ও পারভেজ ছাত্রলীগের কর্মী নয় বরং এরা বখাটে। সংবাদ সম্মেলনে পারভেজের বাবা আবদুল বারেক বলেন; তার ছেলে অন্যায় করায় তারাই তাদের মাথা ন্যাড়া করেছেন। তাঁর ছেলে নেশার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

এ জাতীয় আরও খবর