বুধবার, ৭ই জুন, ২০১৭ ইং ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কিউইরা দ্বিতীয় ম্যাচে হারবে!

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২২, ২০১৭
news-image

---

স্পোর্টস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ম্যাচ, তারপর নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে যে বাংলাদেশকে দেখা গিয়েছিল, সেই বাংলাদেশই পরশু ডাবলিনের মালাহাইডে একেবারে অন্য চেহারায়। ফিরতি ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে উড়ে গেল আইরিশরা। ২২.৫ ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয়। স্বাগতিক প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়া জয়ই তো পেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দুর্দান্ত জয়টা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এতে একটা আফসোসও হচ্ছে মাশরাফির। এমনটা খেলতে পারলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাও জেতা যেত! তবে আগের ম্যাচে হয়নি তো হয়নি। ফিরতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর আয়ারল্যান্ডকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মালাহাইডের কন্ডিশনে টস জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করেন মাশরাফি। তবে সেই কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারার কৃতিত্ব দিয়েছেন তার বোলারদের, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা শুরুর দিকে উইকেট ফেলতে পারিনি। কিন্তু (পরশু) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বোলাররা ঠিক সেই কাজটাই সাফল্যের সঙ্গে করেছে। বোলারদের কাছ থেকে আমরা এমন কিছুই সবসময় চাই।

নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। রুবেল হোসেন উইকেট না পেলেও নিজের পেস ও বাউন্স দিয়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ঠিকই সমস্যায় ফেলেছেন। যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্পেলে মোস্তাফিজ ছিলেন আরও ভয়ংকর! সব মিলিয়ে ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। অধিনায়ক নিজেও করেছেন দারুণ বোলিং (২/১৮)। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি মোস্তাফিজকে নিয়ে মুগ্ধতার কথাই বলেছেন বেশি করে, মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছে। শুধু এই ম্যাচে নয়, আড়াই বছর ধরে ও আমাদের জন্য খুব ভালো করছে। আশা করি, ও এটা ধরে রাখবে। এখনো ওকে অনেক দূর যেতে হবে। বাংলাদেশ ম্যাচ বের করে নিয়েছে ২৭.১ ওভারে। তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার-সাব্বির রহমান, ব্যাট হাতে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন সবাই। সৌম্যর ব্যাটিং সবসময়ই দৃষ্টিসুখকর হয়। এদিনও দারুণ খেলেছেন।

তবে অন্যদিনের সঙ্গে তার কালকের ব্যাটিংয়ের ব্যবধান হলো, এবার তিনি ম্যাচের শেষ টানতে পেরেছেন নিজের হাতে। ৬৮ বলে ১১টি চার ও ২টি ছয়ে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তামিমের ৫৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে ৬টি চার। অধিনায়কের মুখে অবশ্য দুই ওপেনারেরই প্রশংসা, দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে যেকোনো দলই সমস্যায় পড়ে। তবে তামিম আর সৌম্য ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ওভারপ্রতি ৭ রান করে নিয়ে আমাদের কাজটা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে মাশরাফির দৃষ্টি এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটির দিকে। আগামী বুধবার সেই ম্যাচে জয় চান অধিনায়ক, আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জিততে চাই। এর আগের ম্যাচেই আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু পারিনি। তবে আমি মনে করি, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেললাম, সেভাবে খেলতে পারলে আমরা নিউজিল্যান্ডকেও পরের ম্যাচে হারাতে পারব।