g জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে না, পড়ছে বিরূপ প্রভাব | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে না, পড়ছে বিরূপ প্রভাব

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৮, ২০১৭
news-image

---

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, গত পাঁচ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার প্রায় স্থবির হয়ে আছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যাও আর বাড়ছে না। দেশের জনসংখ্যার ওপর পড়ছে এর বিরূপ প্রভাব। গত সপ্তাহে বিবিএস প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পেল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৬’ প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১ জুলাই দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি। এ বছর তা বেড়ে ১ জানুয়ারিতে হয়েছে ১৬ কোটি ১৭ লাখ। ৬ মাসে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ। অর্থাৎ, দৈনিক জনসংখ্যা বাড়ছে ৯ হাজার ৩১৫ জন। বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ১০০ মানুষ বাস করে। বাংলাদেশে জনঘনত্ব ভারতের চেয়ে চার গুণ ও চীনের চেয়ে আট গুণ বেশি।

বিবিএস ২০১৫ সালে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল। তাতে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ২০১৪ সালের প্রাক্কলনের তথ্য ব্যবহার করা হয়। এতে বলা হচ্ছে, ২০৫১ সালে দেশের মানুষ হবে ২১ কোটি ৮৪ লাখ। আর ২০৬১ সালে হবে ২২ কোটি ৫৭ লাখ। এর অর্থ, মানুষ বেড়েই চলবে।

বাড়তি জনসংখ্যার চাপ পড়ছে সমাজ ও অর্থনীতিতে। আবাসন, পরিবহনসহ সব খাতে সংকট বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে ঘটছে বিপর্যয়। রোগীর চাপে হাসপাতালগুলো মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারছে না। ২৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৬ শতাংশ শিশু খর্বকায়। এর সঙ্গে প্রতিবছর ৩৪ লাখ মানুষ যুক্ত হচ্ছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, পরিবারকল্যাণ সহকারীদের জন্য সারা দেশে অনুমোদিত পদ আছে সাড়ে ২৩ হাজার। বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার পদ শূন্য। এ ছাড়া উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকসহ কিছু পদে আরও প্রায় তিন হাজার শূন্য পদ আছে। এতে মাঠপর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চাহিদামতো সক্ষম দম্পতির হাতে তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠসেবা কর্মসূচির ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার যে পর্যায়ে আছে, তার থেকে বাড়ানো কঠিন। বরং এটাকে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ।’ দীর্ঘস্থায়ী ও স্থায়ী পদ্ধতি (নারী বন্ধ্যাকরণ, পুরুষ বন্ধ্যাকরণ, ইমপ্লান্ট ও আইইউডি) ব্যবহারের হার খুব কম। এই হার বর্তমানে ৮ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রায় এক দশক ধরে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থায়ী পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু খুব বেশি সফল হওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, ‘দেশে শিক্ষার হার, অর্থনৈতিক অবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন- এসব ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি চলছে সনাতন পদ্ধতিতে। এই কর্মসূচি এখন আর মানুষকে আকর্ষণ করে না। কর্মসূচিতে ধার নেই।’ সূত্র: প্রথম আলো