বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে আনন্দ র্যালি প্রস্তুতি সভা
আনোয়ার হোসেন উজ্জল, আখাউড়া : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামী ২৫ নভেম্বর আখাউড়ায় আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারবে বলেও সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সভায় ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন বিষয়ে আলোচনা হয়।
দিবসটি উদযাপনে রাজনৈতিক দল, সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের স্বর্তফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সাঈদ মিয়া, আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: মনির হোসেন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আরিফুল আমিন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: সেলিম মিয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা বেগম, আখাউড়া সদর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো: জালাল উদ্দিন, উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল হান্নান ভূূইয়া, মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনির হোসেন, মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামাল ভূইয়া, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আহমদ শাহ আল জাবের প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। এই ভাষনের মাধ্যমে মুক্তিকামী বাঙালী জাতি নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক তৈরি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা। এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্যগত প্রামাণ্য দলিলসমূহের সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।