সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাজারে চাল ও পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ

রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম জায়গা ভেদে একেক রকম। পেঁয়াজ ও চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বছর জুড়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ভুগিয়েছে ক্রেতাদের। সবজি,চাল,মাছ ও মাংসের দাম বছর জুড়ে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও।আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত সরকার আমদানির খরচ বাড়ানোয় পেঁয়াজ আনছেন না তারা। ফলে আমদানি কমার প্রভাবে দাম বেড়েই চলেছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহর মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই মূল্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার ফার্মগেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মহল্লার বাজার দেশি পেঁয়াজ আরও বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন পেঁয়াজের দাম একটু কম বিক্র হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। পাইকারি কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৮৮ টাকা দরে।

ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা। এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। এর আগে আগস্ট মাসে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরের তিনমাসে বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বরের শুরুতে দাঁড়িয়েছিল দেশি পেঁয়াজে ১০০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজে দাম ৮০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম অনেক আগেই ১০০ ছাড়িয়েছে আর আমন ধানের নতুন চাল বাজারে আসার পরেও ৩ প্রকার চালে কেজিপ্রতি মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ২-৩ টাকা। রাজধানীর হাতিরপুল ও মিরপুর ১০ নাম্বার কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

পেঁয়াজের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি করে। পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে মিরপুর পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা সানী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি তাই এর প্রভাব দেশেও দেখা যাচ্ছে।

তবে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমে যাবে। এছাড়া সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৬২ টাকা। বিআর-২৮ চাল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা এবং স্বর্ণা ও পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৩ টাকা। চালের দামের বাড়তি সম্পর্কে হাতিরপুল বাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী চালের যোগান কম। আমন ধান প্রায় ৪০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। বোরো ধান না ওঠার আগে দাম কমার কথা চিন্তাই করা যায় না।

এদিকে মিরপুর বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা ফিরোজ আলম বলেন, এতো দিন ভুগিয়েছে সবজি আর পেঁয়াজ, এখন যন্ত্রণা শুরু করেছে পেঁয়াজ ও চাল। এই মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা আর কত দিন। বাজারে আসলে দাম শুনেই মন খারাপ হয়ে যায়। ফিরোজ বলেন, সরকারকে ভালো ভাবে পদক্ষে নিতে হবে বাজার মনিটরের জন্য। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি হয়েগেছি। দাম বাড়লেইতো বাড়ে আর কমে না।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

‘বাড়ি গেলে সৎ বাবা মারে’

ফেবারিটদের কী হলো?

হিজরা দলের অভিনব কায়দায় ছিনতাই

ঈদের আনন্দ এখন একটু কম, সবাইকে শুধু দিতেই হয়: চম্পা

ক্রিকেটারদের ঈদ কেমন কাটছে?