যে কারণে গিনেস বুকে রয়েছে তাদের নাম
বলিউডের বেশ ক’জন তারকা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছেন। তাদের নিয়েই এই আয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারা কী কারণে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন।
ললিতা পওয়ার: বলিউডের এক জন জনপ্রিয় প্রবীণ অভিনেত্রী। ৮১ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালে মারা যান তিনি। বলিউডের বহু ছবিতে বিভিন্ন অভিনেতার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ললিতা। হিন্দি, গুজরাটি, মরাঠি মিলিয়ে প্রায় ৭০০ ছবিতে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। ১২ বছর বয়স থেকে টানা ৭০ বছর অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘতম ফিল্ম ক্যারিয়ারের জন্য তার নাম রয়েছে ‘গিনেস বুক’-এ।
অশোক কুমার: টানা ৬৩ বছর ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাই দীর্ঘতম ক্যারিয়ারের জন্য তার নামটিও রয়েছে গিনেস বুকে।
অমিতাভ বচ্চন: বলিউড আর অমিতাভ বচ্চন যেন পরিপূরক। এক কথায় অমিতাভ বচ্চন বলিউডের ট্রেন্ড সেটার। তার ‘ব্যারিটোন’ ভয়েস হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছে। সেই গলার স্বরের জন্যই রেকর্ডবুকে নাম রয়েছে অমিতাভের। ১৯ জন জনপ্রিয় শিল্পীর সঙ্গে ‘হনুমান চালিশা’ গাওয়ার জন্য ‘গিনেস বুক’ রেকর্ড রয়েছে বিগ-বি’র।
কুমার শানু: নব্বই দশকের অন্যতম সেরা গায়ক। বাংলা-হিন্দি ছবিতে বহু হিট গান রয়েছে কুমার শানুর। এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গান রেকর্ড করে ‘গিনেস বুক’-এ নাম তুলে ফেলেছিলেন কুমার শানু। একই দিনে সর্বোচ্চ ২৮টি গান রেকর্ডিংয়ের নজির রয়েছে এই শিল্পীর।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
শাহরুখ খান: বলিউডের বাদশা বলে কথা। রোম্যান্স কিং বলা হয় তাকে। থিয়েটার-টিভি সিরিয়াল থেকে বলিউডের ছবি। শাহরুখ খানের অভিনয় দক্ষতা মন জয় করেছে বহু মানুষের। ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ আয় করে শাহরুখের নাম উঠেছিল ‘গিনেস বুক’-এ। সে বছর প্রায় ২২১ কোটি টাকা রোজগার করেছিলেন তিনি।
অভিষেক বচ্চন: বাবা অমিতাভের পাশাপাশি ছেলে অভিষেকও রেকর্ডের মালিক। একটি ছবির প্রচারে সবচেয়ে বেশি বার পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্সের কারণে অভিষেক বচ্চনের রেকর্ড রয়েছে। ‘দিল্লি সিক্স’ ছবির প্রচারের সময় ১২ ঘণ্টায় প্রাইভেট জেট নিয়ে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার যাতায়াত করেছিলেন তিনি।
সোনাক্ষী সিনহা: ‘গিনেস বুক’-এর খাতায় নাম রয়েছে সোনাক্ষী সিনহারও। গত বছর মার্চে এই রেকর্ড করেছেন তিনি। ‘নেইল আর্ট’ করে রেকর্ড গড়েছিলেন অভিনেত্রী। যারা ঘন ঘন ‘নেইল আর্ট’ করান, সেই রেকর্ডের তালিকাতেই নাম রয়েছে সোনাক্ষীর।
সূত্র: আনন্দবাজার