সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মটরশুঁটির পুষ্টি গুণাগুণ

সাধারণত কোনও প্রাকৃতিক উপাদানেই এমন কোনও খারাপ কিছু থাকে না যে তা থেকে শরীরের কোনও ক্ষতি হতে পারে। আসলে নানা সময় বিজ্ঞানীরা নানাবিধ খাদ্য উপাদানের গুণাগুণ সম্পর্কে আরও গভীরে গিয়ে জানতে নানা পরীক্ষা করে থাকেন। তখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে, এমন পরীক্ষা করা হচ্ছে মানেই সেই খাবারটিতে কোনও খারাপ কিছু রয়েছে, যেমনটা মটরশুঁটির ক্ষেত্রে মনে হয়েছে অনেকেরই।

আসলে কিন্তু মটরশুঁটিকে নিয়ে হওয়া গবেষণাটিতে কোনও খারাপ কিছুর সন্ধান মেলেনি, বরং বেশ পজেটিভ তথ্যই উঠে এসেছে। সম্প্রতি হওয়া এই গবেষণায় দেখা গেছে মটরশুঁটি কাঁচা অবস্থায় হোক কী রান্নায় দিয়ে, যে কানও অবস্থাতেই যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে নানা উপকার মেলে।

আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এই সবজিটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার অভ্যাস করলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায় সেগুলি হল, ওজন কমাতে সাহায্য করে স্টমাক ক্যান্সারকে দূরে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মধ্যে দিয়ে শরীরকে যদি রোগমুক্ত রাখে ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বাড়িয়ে দেয় । সবজিটির অন্দরে থাকা ভিটামিন ই, বি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমাতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমায়। এর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার, শরীরে প্রবেশ করার পর বর্জ্যরে পরিমাণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

হাড়কে শক্তপোক্ত করে রোজের ডায়েটে মটরশুঁটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ এতটা বেড়ে যায় যে হাড়ের শক্তিও বাড়তে শুরু করে। ফলে জয়েন্ট পেন বা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে শুরু করে।

ফলে নানাবিধ হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণেই তো ৩০ পেরতে না পেরতেই প্রতিটি মহিলাকে দিনে কম করে এক কাপ মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

Print Friendly, PDF & Email