মঙ্গলবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৭ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার আশ্বাস জাতিসংঘের

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উখিয়ার বালুখালীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের তিনি এই আশ্বাস দেন।

ইয়াং হি লি’র সঙ্গে কথা বলেছেন এমন একাধিক রোহিঙ্গা প্রতিবেদককে এই কথা জানান। তবে ইয়াং হি লি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সর্দার লালু মাঝি  বলেন, ‘ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় ইয়াং হি লি জানতে চান, আমরা মিয়ানমারে ফেরত যাবো কিনা। উত্তরে আমরা বিভিন্ন শর্তের কথা জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।’

ওই ক্যাম্পের আয়ুব আলী মাঝি বলেন, ‘এক সঙ্গে আমরা ৩০ জন রোহিঙ্গা ইয়াং হি লি’র সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমরা সবাই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন।’

গত বছরের ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার পর সে দেশের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজারে আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। তিনি আজ  সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থার অফিসে বসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের কথা শোনেন এবং তাদের নিরাপদে ফিরে যেতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এর আগে শনিবার টেকনাফের নয়াপাড়া ও রইক্ষণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ইয়াং হি লি। তিনি টেকনাফ নেচার পার্কের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ১০ রোহিঙ্গা পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেন। সফরকালে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকায় পৌঁছান এবং শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার আসেন। চলতি মাসে তার মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও সে দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি সেখানকার পরিবর্তে বাংলাদেশে আসেন। এবার সাত দিনের সফরে পাঁচ দিন বাংলাদেশে থাকার পর ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফরের কথা রয়েছে তার।