মঙ্গলবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৭ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

তামিমের কাছ থেকে শিখছেন এনামুল

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ সাল থেকে ওয়ানডেতে সময়টা দুর্দান্ত কাটছে তামিম ইকবালের। এই সময়ে পেয়েছেন পাঁচটি সেঞ্চুরি। নিয়মিত বড় ইনিংস খেলার কৌশলটা বাঁহাতি এই ওপেনারের কাছ থেকে শিখতে চান এনামুল।

ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ছয়বার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন এনামুল। এর মধ্যে তিনবার গেছেন তিন অঙ্কে। থিতু হতে পারলে বড় ইনিংস খেলা ডানহাতি এই ওপেনারের সহজাত।

প্রায় তিন বছর পর দলে আসা এনামুল যেন আবার নতুন করে শুরু করেছেন। আগে শুরুতে সময় নিতে পছন্দ করা এই তরুণের মধ্যে এখন প্রথম বল থেকে স্কোরিং শটের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। এনামুলের বিশ্বাস, বড় ইনিংসের খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।

“আমার মনে হয়, বড় ইনিংস খেলা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। তামিম ভাইকে দেখলে বুঝতে পারি। তিনি ২০১৫ সাল থেকে যেভাবে বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছেন, আমার মনে হয়, জুনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার। আমার মনে হয়, বড় ইনিংস খেলা সম্ভব।”

“ছোট বেলা থেকে যখন রান করি, তা বড় করার চেষ্টা করি। দুদিন থিতু হয়েছি কিন্তু বড় রান করতে পারিনি। চেষ্টা করব বড় রান করার জন্য। মাত্র তো দলে ফিরলাম, আশা করি সামনে আরো বেশি কিছু শিখতে পারবো এবং বড় কিছু করতে পারবো।”

২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪০ ইনিংসে ৫টি সেঞ্চুরি এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে এনামুলের জুটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি। দুই জনের ২১ জুটিতে আছে দুটি সেঞ্চুরি, তিনটি ফিফটি। তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং করতে সব সময়ই পছন্দ করেন এনামুল।

“তামিম ভাই সব সময় খুব সমর্থন করেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইয়ের চেয়ে সহায়ক কেউ নেই। বাংলাদেশে এতো বড় একজন ওপেনার জন্ম নিয়েছেন, এটা বিরাট ব্যাপার।”

“দুই দিক থেকেই রান এলে খুব ভালো হয়। সেটা আসছে। আর ডানহাতি ও বাঁহাতির কম্বিনেশন থাকলে বোলারদের জন্য একটু অসুবিধা থাকে। দিক পরিবর্তন হলে বোলিংয়েও পরিবর্তন আনতে হয়। আমরা ওপেনাররা যদি বেশি রান করতে পারি, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়।”

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ বলে ১৯ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৩৫ রান করে ফিরেন এনামুল। তরুণ এই ওপেনারের মধ্যে ছিল প্রথম ১০ ওভার কাজে লাগানোর চেষ্টা।

“তামিম ভাইয়ের সাথে অনেক দিন পর ব্যাটিং করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। যেভাবে দল চায় সেভাবেই খেলতে চাচ্ছি আমি। অবশ্যই ইনিংসগুলো বড় হলে খুব ভালো লাগবে।”

প্রায় তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা এনামুল এখন অনেকটাই পরিণত।

“পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, হিসেবি ঝুঁকি নেয়াটা জরুরি। একটা ম্যাচে আমি ভুল করেছি। সামনে চেষ্টা করবো ভুল না করার জন্য।”

“তামিম ভাই মাঝ মাঝে ঝুঁকি নেন। একজন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। আমার মনে হয়, বড় রান তাড়াতাড়িই আসবে। যদি ছোট ছোট বিষয় ঠিক করা যায়।”