শনিবার, ২৪শে মার্চ, ২০১৮ ইং ১০ই চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজ আদায়ে ঈদগাহ ময়দানে হাজারো মুসল্লি

ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লির ইবাদত বন্দেগিতে মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ ময়দান । শুক্রবার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার ১০৫ম বার্ষিক সভা উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মলের ২য় দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুমার নামাজ। হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে এখানে আদায় করা হয় পবিত্র জুমার নামাজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অঞ্চল- গ্রাম এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন সোয়াব হাসিল ও বৃহৎ জামায়াতে জুমার নামাজ আদায়ই উদ্দেশ্যে

পবিত্র এই বৃহৎ জুম্মার নামাযে শুরুতে বয়ান করেন দেশ-বিদেশ বরেণ্য আল্লামা ও ওলামায়ে কেরামগণ।

নামাযে শুরুতে দেশ-বিদেশ বরেন্য ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, যতদিন দ্বীন থাকবে, তত দিন দুনিয়া থাকবে। আর দ্বীন টিকে থাকবে দাওয়াতের মাধ্যমে। যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে গেছেন। নবী-রাসুলদের আল্লাহ নিজের পরিবার ও বিভিন্ন গোত্রের মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।

আরও বলা হয়, মহান আল্লাহ তার রসুলদের যেমন মর্যাদা দিয়েছেন তেমনই উম্মতদেরও তাদের রসুলের কথার মর্যাদা দিতে হবে। ইহকালীন জিন্দিগী আমাদেরকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। কারণ আমরা ইচ্ছা করলেই বার্ধক্যকে ফেরাতে পারবো না। মৃত্যুর স্বাদ আমাদেরকে গ্রহণ করতেই হবে।

বয়ান শেষে খুতবা তেলাওয়াত করেন ও জুম্মার নামায পরিচালনা করেন ভারত দেওবন্দের ক্বারী আব্দুর রউফ।

কসবা কোড্ডা থেকে আসা মুসল্লি মিজান আলী ৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে এসেছেন জুম্মার নামায আদায়ের লক্ষে।

তিনি বলেন, ঈমান আখলাকের শিক্ষার জন্য পরিবারের বাইরে এমন বৃহৎ পরিসরে শিক্ষা জরুরি। জুম্মার নামাযে তিনি ছেলেকে নিয়ে ঈমান, দ্বীন, ইলম, আকীদার শিক্ষা নেবেন। হায়াত-মতের কথা বলা যায় না ভাই জানি না আর কখনো আল্লাহ তৌফিকে রাখবে কি না।

অতিরিক্ত তীব্র রোদ্র ও গরম থাকার পরও হাজারো লোক এসে জমায়াত হয়েছেন এই জুম্মার নামাযে। জীবনকে সুন্দর ও ইমানী করার জন্য সকলেই জামায়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেন।

Print Friendly, PDF & Email