মঙ্গলবার, ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ৮ই ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সেঞ্চুরিয়ানে কোহলির সেঞ্চুরিতে বিধ্বস্ত প্রোটিয়ারা

স্পোর্টস ডেস্ক : আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ভারত। তাই শেষ ম্যাচটিতে না জিতলেও চলতো। তবে ভারত বলে কথা তারা সব ম্যাচই জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামে।

সেঞ্চুরিয়ানে সম্মুখ সমরে নামার আগেই কোহলি বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে স্কোরলাইন ৫-১ করা। সেই সেঞ্চুরিয়ানেই ক্যারিয়ারের ৩৫তম সেঞ্চুরি করে কথা রাখলেন।

দেশে বা দেশের বাইরে, সবখানেই ‘ব্যাটসম্যান’ বিরাট কোহলি দুর্দান্ত, ভয়ঙ্কর। তা আরও একবার প্রমাণ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রোটিয়াদের কাছে টেস্ট সিরিজে হারের পর ওয়ানডের শুরুতেই উড়ন্ত ফর্মে ছিলো ভারত। সিরিজের মাঝপথে প্রোটিয়া তারকা খেলোয়াড়দের ইনজুরির সুযোগে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে সফরকারীরা।

শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে ছয় ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় সফরকারীরা। ভারতীয়দের পেস তাণ্ডবে ৪৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৪৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফেরার আগে আমলা করেন ১০ রান। আর অধিনায়ক মার্করাম ফেরেন ২৪ রান করে।

তবে তৃতীয় উইকেটে ঝান্ডোর সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে ৩০ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করে স্বাগতিকদের বড় একটা ধাক্কা দেন চাহাল। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করা ঝান্ডোকেও সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার।

এরপর নিয়মিত বিরতি উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার দুইশ ছোঁয়ার আগেই অল আউটের শঙ্কা জাগে। তবে শেষ দিকে মরকেলের ২০ আর ফিলুয়াওয়া ৩৪ রান করলে ২০৪ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের হয়ে ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন ঠাকুর। জাসপ্রিত বুমরাহ ও চাহাল নেন দুটি করে উইকেট।
ভারতীয় দলে এদিন পেসার ভুবনেশ্বরের বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান তিনি। ৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট নেন এ পেসার। এদিন শার্দুলের শিকার হন দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্যান্ডবাই অধিনায়ক মার্করাম, হাসিম আমলা, বেহারদিন, ফিলুয়াওয়াকেও বিদায় করেন তিনি।

মাত্র ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে ধাওয়ান ও রোহিতকে তাড়াতাড়ি খোয়ালেও কোনও ভুল করেননি কোহলি। গত ম্যাচে শতরান করা রোহিত ১৫ ও শিখর ধাওয়ান করেন ১৮ রান। দুটি উইকেটই নেন এনগিদি।
দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ানের সঙ্গে ম্যাচ সেরা কোহলি গড়েন ৬১ রানের জুটি। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটিতে অধিনায়ক দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
৩৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া কোহলি ক্যারিয়ারের ৩৫তম সেঞ্চুরিতে যান ৮২ বলে।
অধিনায়ক ৯৬ বলে ১৯টি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২৯ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ১১২ রান, তৃতীয় ম্যাচে অপরাজিত ১৬০।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এনগিদি উইকেট দুটি লাভ করেন।
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে দলকে নেতৃত্ব দেয়ায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে মোট ৫৫৮ রান তোলায় প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন বিরাট কোহলি।
এই রান করার পথে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ডি ভিলিয়ার্সকে (৯৫৭৭) ছাড়িয়ে যান কোহলি (৯৫৮৪)।

Print Friendly, PDF & Email