বুধবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ৯ই ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

হারের হ্যাটট্রিক রিয়াদ বাহিনীর

১৯ জানুয়ারি আর ১৮ ফেব্রুয়ারি, এক মাসের ব্যবধানে দুই চিত্র বাংলাদেশ ক্রিকেটের। কথায় বলে যার শুরু ভালো, তার শেষ ভালো। কথাটা একেবারেই মিথ্যা প্রমাণ করলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ১৯ জানুয়ারি যে দলটি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে ক্রিকেটে জয় দিয়ে যাত্রা সিরিজে যাত্রা শুরু করেছিলো, ঠিক একমাসের মধ্যে প্রতিপক্ষ সেই দলের কাছেই স্বাগতিকরা টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচটিও বড় ব্যবধানে হারলো।

মাঝখানে ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজ হারের পর আজ টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় পরাজয়ের হ্যাটট্রিক করলো লাল-সবুজের দল। মাসব্যাপি তিন ফরম্যাটের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টাইগারদের প্রাপ্তি শুধু ওয়ানডেতে একমাত্র জয়।

সিরিজে হ্যাটট্রিক হারের অপবাদমুক্ত হতে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের মোকাবিলায় নামে স্বাগতিক বাংলাাদেশ। আগের দিন সিরিজ ড্রর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন ফারাক, সেটা আবারও প্রমাণ করলো বাংলাদেশের ওরা ১১ জন। তারা হাথুরুবাহিনীর কাছে ম্যাচ হারলো ৭৫ রানে। সেই ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে হারের ষোলকলা পূর্ণ করলো রিয়াদবাহিনী।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং বেছে নেন দলনায়ক রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে শিশির সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত রিয়াদের। তার এই সিদ্ধান্ত পুরোটাই ভুল প্রমাণিত করে রানের পাহাড় (২১০) গড়ে লঙ্কানরা। টি-২০ ক্রিকেটে এটি তাদের পঞ্চম আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

টাইগার বোলারদের ধারাবাহিক পিটিয়ে ওপেনিং জুটি ৯৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। সৌম্যর হাতে জুটি ভাঙলেও লঙ্কানরা যেনো আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রানের বিশাল ইনিংস দাঁড় করায় টাইগারদের সামনে।
জবাব দিতে বাংলাদেশকে টি-২০ ক্রিকেটে রানের রেকর্ড গড়তে হতো। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ১৯৩ রানের বড় ইনিংস খেলেও ৬ উইকেটে হারে রিয়াদরা। গতকাল ঘুড়ে দাঁড়ানোর বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও খেই হারিয়ে ফেলে টাইগার সেনারা। ৮ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় স্বাগিতদের ইনিংস। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ৪১, তামিম ২৯ ও সাইফউদ্দিন ২০ রান করেন।

Print Friendly, PDF & Email