রবিবার, ২৫শে মার্চ, ২০১৮ ইং ১১ই চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন স্তন্যপানের গোপন কথা

স্বাস্থ্য ডেস্ক : মায়ের দুধই শিশুর প্রথম খাদ্য। জন্মের পর মায়ের দুধে শিশুর বেড়ে ওঠা চিরাচরিত। সদ্যোজাতর জন্য মায়ের দুধের অপরিহার্যতা চিকিৎসাক্ষেত্রেও স্বীকৃত। কিন্তু জানেন কি, এই প্রক্রিয়াকে আমরা যতটা সহজ ও সাধারণ বিষয় বলে মনে করি আসলে ততটা নয়? এটিও একধরনের চ্যালেঞ্জ। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এর জন্যও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন। আর সেগুলির মধ্যে প্রথম হল, ধৈর্য ধরুন আর মাঝেমধ্যেই সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করান।

প্রথম দুধ শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াতে পারলে তা শিশুর পক্ষে সবথেকে উপকারী। সদ্যোজাতর জন্য ঠিক যতটা পুষ্টি দরকার, ততটাই থাকে এই দুধে। যাতে পরিমাণ কমে না যায়, সেইজন্য বারবার দুধ খাওয়ান। যত কম পরিচর্যা বা ব্যবহার হবে দুধ ততই কমে যাবে। শুধু সদ্যোজাতরই নয়, খেয়াল রাখতে হবে মায়ের স্বাস্থ্যেরও। মাকেও সময়মতো খাবার খেতে হবে, যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে। মায়ের শরীরে ক্যালোরি জমলে তা থেকেই শিশু দুধ পাবে।

কীভাবে শিশু দুধ পান করছে, সেটার উপরও নির্ভর করে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্য। সাবধানে এবং সতর্কভাবে এমন করে দুধ পান করাতে হবে যাতে শিশু বেশি পরিমাণে দুধ পায় এবং তার মুখে সেটি সঠিকভাবে যায়। একইসঙ্গে মায়ের কোনও সমস্যা যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

শিশু যখন স্তন্যপান করবে তখন তাকে নিজের মতো ছেড়ে দিন। তাড়াহুড়ো করে একদিক থেকে আর একদিকে বদল করার দরকার নেই। তাকে নিজেই সরে আসার সময় দিন। এক একবারে যদি এক দিকেই স্তন্যপান করে তাতেও ভয় পাওয়ার বা বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু ও মা দু’জনকেই এই পদ্ধতি ধীরে ধীরে শিখতে হয়। কয়েক সপ্তাহ গেলে তবেই সঠিক পদ্ধতি রপ্ত করা যায়।প্রথম সপ্তাহে শিশু সবসময়ই ক্ষুধার্ত থাকে। গর্ভ থেকে বেরোনোর পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে সে। বারবার স্তন্যপান করালে সহজেই সে বাইরের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।

শিশুর জন্মের পরই চিকিৎসকের কাছে বা বিশেষজ্ঞের কাছে স্তন্যপান করানোর সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়া উচিত। কীভাবে শিশুকে ধরতে হবে, কীভাবে কোলে নিতে হবে, এগুলিও বিশেষজ্ঞদের কাছে জেনে নেওয়া যেতে পারে।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, মা ও শিশুর মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান ও সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার জন্য স্তন্যপানই সবথেকে ভালো উপায়। এর মাধ্যমেই শিশুও যেমন মায়ের স্পর্শ, অনুভূতি চিনতে শেখে, তেমনই মাও শিশুর চাহিদা বা সংকেত বুঝতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email