মঙ্গলবার, ২৯শে মে, ২০১৮ ইং ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের মাটি সব যায়  ইটভাটায় ! কমে যাচ্ছে আবাদী জমির পরিমান

ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নদীপাড়ের সব মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কিছু দরিদ্র কৃষক এই চৈত্র-বৈশাখ অভাবের মাসে বাধ্য হয়ে ও অনেকে লোভে পড়ে মাটিয়ালদের কাছে শস্য জমির মাটি বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে গেলে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউপির ভুরভুরিয়া,হোসেনপুর, ঝুনারচর, তাতুয়াকান্দি গেলে এলাকাবাসী জানায়, র্দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল মেঘনা মোহনায় তিতাস নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেওয়ার মতো দুঃসাহস কারো নেই। তারা এতটাই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। আইন অগ্রাহ্য করে তারা দরিদ্র কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে , ভুল বুঝিয়ে কৃষকদের ম্যানেজ করে তারা নদীপাড়ের মাটি সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে আবাদী ও কৃষি জমি হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে শহরের পাইকারচর গ্রামের পাশেই নদীতীরবর্তী ইরি জমি।

সুবজ শ্যামল ধানী ইরিজমির চারাসমেত নদীপাড়ারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ১২/১৩টি নৌকা। সরেজমিন দেখা গেছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় অনুমোদিত ইটভাটা রয়েছে ২টি।তবে-বিভিন্ন গ্রামেই রয়েছে চারটি অনুমোদনবিহীন ইটভাটা। নদীর মাটি কেটে ওই সব ভাটায় সহ রায়নগঞ্জ,নরসিংদী,ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। আগামী বছরের জন্য লাট মারা হচ্ছে।

কারা এই মাটি বিক্রি করছে তা স্থানীয়রা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন। ‘‘তাদের ভাষ্য লিখে কি হবে ? সবই তো ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে’’-ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন হাজী শরিফ মিয়া।ছলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ইন্দন রয়েছে মাটি বিক্রিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই অভিযোগ করেন। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, আতিয়ার রহমানসহ গ্রামের অনেকেই এই মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের মাটিদস্যূদের অত্যাচার ও জমি বাঁচানোর আহবান জানান।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি)মো.আলমগীর হোসেন,সদর উপজেলা নির্বাহী মো.শরিফুল ইসলামকে জানালে তারা বলেন,-‘আমরা উভয়ই সমপ্রতি উপজেলায় যোগদান করেছি।এলাকাবাসী আমাদের জানালে আরো আগে ব্যবস্থা নিতাম।এখনো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

Print Friendly, PDF & Email