শুক্রবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৪ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহন খাতে নৈরাজ্য আর অবব্যস্থাপনা

দেশের সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহনের ৭২ শতাংশেরই ফিটনেস নেই। অন্যদিকে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে ৫৪ লাখের বৈধ লাইসেন্স নেই। এমন সব তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানে।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সড়কে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণে উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, মালিক, শ্রমিক নেতা আর কিছু রাজনীতিবিদ গণপরিবহন খাতকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাগরিকদের জিম্মি করে রেখেছেন।

সম্প্রতি দুটি বাসের রেষারেষির ঘটনায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব মারা যাওয়ার ঘটনা দেশবাসীকে কাঁদিয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, প্রতিদিন সারা দেশে অন্তত ৬৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছেন। এ ছাড়া আহত হচ্ছেন অন্তত দেড়শ জন।

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, চালক আর ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। গত তিন মাস ২০ দিনে ১ হাজার ৮৪১ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আর আহত হয়েছে ৫ হাজার ৪৭৭ জন। দিনের পর দিন এভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে অথচ দেখার কেউ নেই। যে যেভাবে পারছে সড়কে চাঁদাবাজি করছে আর পরিবহন খাতকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘এক তৃতীয়াংশের তো ফিটনেস আছে আর যেটার ফিটনেস আছে সেটাও তো অ্যাকসিডেন্ট করবে। একটা পর্যবেক্ষণের জন্য তো অনেক সরকারি কর্মচারী আছেন। মোর দ্যান হান্ড্রেড পারসেন্ট সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরেও যদি সরকারি কর্মচারীদের আবার উপরির দিকে যেতে হয়, চোখ বন্ধ করে থাকতে হয় এটা তো কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। সড়ক পরিবহন সমাজে কিভাবে নৈরাজ্য চলছে, কিভাবে অবস্থাটা চলছে? বাস্তবচিত্র। আমাদের কোনো অগ্রগতি তো হচ্ছে না। ’

Print Friendly, PDF & Email