বুধবার, ৯ই মে, ২০১৮ ইং ২৬শে বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরেও পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা, নাজুক দশায় ছোলার আবাদ

চলতি বছরেও পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা, নাজুক দশাতেই রয়েছে ছোলার আবাদ। চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে পাঁচ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে তিন হাজার ৩২ হেক্টর জমিতে ছোলার আবাদ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ দেশে ক্রমাগত বাড়ছে শক্তিবর্ধক ছোলার চাহিদা। ফল ছেদক পোকা ও বোট্রাইটিস গ্রে মোল্ড রোগের প্রকোপ এবং অন্যান্য ফসলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে নাজুক এই দশায় পড়েছে ছোলার আবাদ। বর্তমানে উৎপাদন ৮০ হাজার মেট্রিক টন থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে এবং উৎপাদনের ক্রমঅবনতির এই ধারা বজায় রয়েছে। আগেই অবস্থান হারিয়ে ডাল জাতীয় ফলের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নেমে এসেছে ছোলা। অথচ বারি’র গত জুন মাসের হিসেবে ডাল ফসলের এলাকা ও উৎপাদনের দিক থেকে ছোলা ছিল পঞ্চম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর সমন্বয় করা হিসেবে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দেশের পাঁচ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ৬৮ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে চার হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মাত্র পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ছোলা উৎপাদন হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সাত হাজার হেক্টর জমিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন ছোলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি’র ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জীবনকাল ৪ মাসের বেশি হওয়ায় নাজুক দশায় পড়েছে ছোলা। রবি মৌসুমে ছোলার জমির দখল নিচ্ছে অনান্য ফসল। এ ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ফলন বাড়িয়েও ছোলা চাষের নাজুক দশা কাটানো যাচ্ছেনা। তবে ছোলা চাষের অবস্থার উন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাপ, খরা ও রোগ প্রতিরোধী বারি ছোলা ১০ অবমুক্ত হয়েছে। এই জাতের ছোলার আবাদ হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। অপেক্ষাকৃত কম জীবন কালের এই জাতের ছোলা হেক্টরে ১৮০০ থেকে ২০০০ কেজি ফলন দেবে। এ যাবত বারি উদ্ভাবিত ছোলার ১০টি উন্নত জাতের মধ্যে বারি ছোলা-৫ ও বারি ছোলা-৯ উচ্চফলন ও রোগসহনশীল। এছাড়া বারি ছোলা-৮ একমাত্র কাবুলী জাত। ২০১১ সালে বারি ছোলা-৯ এবং ১৯৯৬ সালে বারি ছোলা ৫ অবমুক্ত হয়। ছোলার এ জাতগুলো একক ফসলের পাশাপাশি আন্তঃফসল হিসেবে চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।

এদিকে আবাদ ও উৎপাদনের বেহাল দশার কারণে প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ছোলা আমদানি করতে হচ্ছে। বহুবিদ ব্যবহারে দেশে দিনে দিনে বাড়ছে ছোলা ও ছোলার ডালের চাহিদা। বর্তমানে চাহিদা ২ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) উইং সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে দেশে গড়ে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন ছোলা ও ছোলার ডাল আমদানী করা হয়। চট্টগ্রামের কাস্টম হাউসের হিসেবে গত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এক লাখ ২২ হাজার ২৫৪ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। আরও ছোলা আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

তুতানখামেনের পিরামিডে গোপন কক্ষ নেই

নারীর সামনেই লিফটের ভেতর ২ যুবকের মুত্রত্যাগ!

গ্রেফতারের আগেই উচ্চাদালত থেকে ৬ মাসের আগাম জামিন

তিউনিশিয়ায় প্রথম নারী মেয়র হলেন সোউয়াদ আব্দেররাহিম

যেভাবে জানা যাবে কোথায় কখন বজ্রপাত হবে

৩০ হাজার বার্গার খেয়েছেন যে ব্যক্তি!