১২’শ মণ আম জব্দ, আগামী এক সপ্তাহ আম না কেনার আহ্বান
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ থেকে ১০টি ফলের আড়ত থেকে ১২’শ মণ অপরিপক্ক কেমিকেলযুক্ত আম জব্দ করেছে। এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আগামী এক সপ্তাহ বাজার থেকে কোনো আম না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৯ মে) সকাল ৬টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এ ঘটনায় ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি বিএসটিআই এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলন।
সারোয়ার আলম জানান, অপরিপক্ব আমে বিষাক্ত কেমিকেল ব্যবহার করে পাকানোর অভিযোগে এই বিপুল পরিমাণ আম জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট সময়ের ১০ থেকে ১৫ দিন আগে আমগুলো গাছ থেকে নামানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে আমগুলো পেকে গেছে। কিন্তু ভেতরে একেবারেই কচি। আমগুলো কখন ভাঙতে হবে সেটির একটি অঞ্চলভিত্তিক ক্যালেন্ডার সরকার করে দিয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ীরা আগেই আমগুলো পেড়ে নিয়ে এসে সেটা কেমিকেল দিয়ে পাকানোর চেষ্টা করেছে।
ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা অন্তত আগামী এক সপ্তাহ বা দশ দিন কোনো আম কিনবেন না। পরে যখন পুরোপুরিভাবে আম বাজারে উঠবে তখন কিনবেন। আমের বাজার নষ্ট না করতে ফরমালিন ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেন সারোয়ার আলম।
গত ১৭ মে যাত্রাবাড়ীর ফল আড়তে অভিযান চালিয়ে কেমিকেল দিয়ে পাকানো প্রায় এক হাজার মণ আম ধ্বংস করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪০ মণ খেজুরও জব্দ করা হয়। অভিযানে ৯ ফল ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ মে কারওয়ানবাজার ফল আড়তে অভিযান চালিয়ে ৪০০ মণ আম ধ্বংস করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন ৭ জনকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। ১১ মে রাজধানীর বাদামতলী ফল আড়তেও অভিযান চালিয়ে ৬০ মণ পচা খেজুরসহ ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম ধ্বংস করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সময় টিভি, সারা বাংলা, প্রথম আলো