রবিবার, ৩রা জুন, ২০১৮ ইং ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে শেষ পর্যন্ত সেই ধর্ষণচেষ্টাকারীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো পুলিশ

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া যাওয়ায় এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় ধৃত যুবককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ধামরাই থানা পুলিশ।

ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী হাতকোড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে জাহিদকে আটকের ১৮ ঘন্টার পর দেনদরবার করে ২৮ মে (সোমবার) গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে ২৮ মে (সোমবার) সকালে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ তার কক্ষে স্থানীয় একদল সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, ‘জাহিদের বিরুদ্ধে যদি কেউ বাদী না হয় তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে। কোন তদবিরে কাজ হবে না’। তবে ওসি তার কথা রাখতে পারলেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু বলেন, মেয়ের পক্ষে মামলা দিতে রাজী না হওয়ায় জিডি করে জাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে টাকার বিনিময়ে নয়।

উল্লেখ্য, ওই ছাত্রী, তার মা ও মামীকে মামলা করার জন্য ২৮ মে (সোমবার) দিনভর অবস্থান করতে দেখা যায় থানায়। ওই সময় নির্যাতিতা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। তখন তার মা ও মামী জানায়, ‘গরীবের বিচার নাই। মাতব্বররা মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে’।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বখাটে জাহিদের বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও শাহিনসহ কয়েকজন মাতাব্বরদের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ‘কানেকশনের’ কারণেই অসহায় পুলিশ একজন ধর্ষণচেষ্টাকারীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই গতানুগতিক চলে আসা আমাদের দেশের নষ্ট রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণেই দৃঢ় মনোবল রেখেও একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিছুই করতে পারেন নাই।

তবে মাতব্বর শাহিনের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়ের পক্ষকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email