শুক্রবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১১ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী’

বাসস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রেই এখন এগিয়ে গিয়েছি এবং আমাদের গণতন্ত্রও এখন শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেইসঙ্গে আমাদের অর্থনীতিও এখন যথেষ্ট শক্তিশালী।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার গণভবনে ইফতার মাহফিলে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।

শেখ হাসিনা জানান, তাঁর দল ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দিন বদলের যে সনদ ঘোষণা করেছিল, সেই সনদ অনুযায়ী তাঁর সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে মানুষের দিন বদল শুরু হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দারিদ্র উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। ইনশা আল্লাহ আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরমাণু বিশ্বে আমাদের প্রবেশ ঘটেছে এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা মহাকাশেও পৌঁছে গেছি।’ তিনি সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ সময় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই অগ্রগ্রতির ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে যেন আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারি।’ তিনি এ সময় আগত অতিথিদের মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরআগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন টেবিল ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ইফতারের আগে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাতে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব এবং সেদিনের সকল শহীদ, জাতীয় চারনেতা, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের আত্মার শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

স্পিকার ড: শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এবং বিএনএফ সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া, অন্য মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদসবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতির পার্টি, জাতিয় পার্টি (মঞ্জু), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাপ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ ও সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবমহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, আওয়ামী বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংসদ নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।