বৃহস্পতিবার, ২১শে জুন, ২০১৮ ইং ৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শুধু পুলিশের বাড়িতেই চুরি করে যে চোর!

নিউজ ডেস্ক।। এখন সব পেশাতেই স্পেশালাইজেশনের যুগ। সে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হোন, বা অধ্যাপক অথবা উকিল। বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শিতা না থাকলে জীবনে উন্নতি করা কঠিন। এই সত্যটা খুব ভাল করে বোধহয় বুঝেছিল কুড়ি বছর বয়সী কমলজিৎ সিং।

আর সে কারণেই ভারতজুড়ে হাজার হাজার চুরির ঘটনার মধ্যে থেকেই কমলজিৎ সিংয়ের নাম এখন সংবাদ শিরোনামে। কারণ মুম্বাইয়ের এই তরুণ চুরি করতে ঢুকত শুধুমাত্র পুলিশ কর্মীদের বাসা বাড়িতে।

সে হয়তো ভেবেছিল পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে কোনও চোরের ঢোকার সাহস হবে না বলে সেখানে নিরাপত্তা তত আঁটোসাঁটো হবে না। সেই ভরসাতেই সে গত বছর কয়েকের মধ্যে হানা দিয়েছিল বেশ কয়েকটি পুলিশ বাড়িতে।

ক’দিন আগে কালিচৌকি এলাকার পুলিশ কর্মীদের কোয়ার্টারে ঢুকেছিল সে। সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক দিলীপ উগালে বলেন, ‘ভোরের দিকে কনস্টেবল বিজয় বানের কোয়ার্টারে ঢুকে ৬০ গ্রাম সোনা আর ২৮০০ টাকা নগদ চুরি করে। তারপর একতলায় এক নারী কনস্টেবলের কোয়ার্টারের দরজা ভেঙ্গে ঢুকেছিল। পাশের ফ্ল্যাট থেকে যাতে কেউ বেরুতে না পারে, সেজন্য দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে তিনতলার বাসিন্দা আরেক কনস্টেবল যশবন্ত রসমের নজরে পড়ে যায়।’

রসম সাথে সাথেই সতর্ক করে দেন আরও দুজন সহকর্মীকে এরপর তিনজন পুলিশ তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করে কমলজিৎ। কিন্তু বেশ কিছুটা দূরে কটন গ্রিন রেলস্টেশনের কাছে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি।

পুলিশের ঘরেই সিঁদ কাটার জন্য থানা হেফাজতে তার কী অবস্থা হয়েছিল, সেটা জানা যায়নি, তবে এই প্রথম যে সে পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে চুরি করল, তা নয়।ওয়াদলা আর বাইকুল্লা এলাকার বেশ কয়েকটি পুলিশ আবাসনে আগে হানা দিয়েছিল কমলজিৎ সিং।

এক পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস রিভলবার আর ৩০ রাউন্ড গুলি চুরির অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত বছর গ্রেপ্তারও হয়েছিলো কমলজিৎ। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও পুলিশের ঘরে চুরি শুরু করেন।

উগালে বলেন, ‘ও হয়তো ভেবেছিল আমাদের কোয়ার্টারে অন্য কোনও চোর ঢুকতে সাহস পাবে না। তাই অন্য আবাসনের মতো কড়া নিরাপত্তা থাকে না আমাদের কোয়ার্টারে। এবারও পার পেয়ে যেত, তিনজন কনস্টেবল সন্দেহের বশে তার পিছু না নিলে।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা

Print Friendly, PDF & Email