শুক্রবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মনে পড়ে কি সেই দিনগুলোর কথা ?

কুষ্টিয়ায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এই মাহমুদুর রহমান ই তো কাবা শরীফের গিলাব নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। আর মার খাওয়ার পর এই ব্যাটাই কোর্টের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলছে আমি ইসলামের জন্য জীবন দিয়ে দেব, কি প্রচন্ড প্রতারক হ্যাঁ !!! হায়রে তোমরা এই মিথ্যাবাদীকে ইসলামের ঢাল বানাচ্ছো আর তোমরা তা দেখছ ‍!!!

মনে পড়ে কি, ২০০১-২০০৬ কিভাবে এই বাংলাদেশ জঙ্গীবাদের বিষবাস্পে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। গ্রেনেড তখন খেলার সামগ্রী ছিল। আওয়ামী লীগ মানেই ছিল গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দেবার অথবা জবাই করে ফেলে রাখার বস্তু।

কিন্তু সেই সন্ত্রাস শুধুই যে আওয়ামী লীগের উপর ছিল তা নয়! সেই উদ্দেশ্যমূলক সন্ত্রাস ও হত্যাজজ্ঞ ছিল সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি, লেখক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের উপর। সেই উদ্দেশ্যমূলক হত্যার নির্মম ছোবল থেকে রক্ষা পাননি বিশিষ্ট লেখক, কবি, শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা নির্মম পাশবিক হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে কিছুটা সুস্থ হলেও, সেই ধকল আসলে তিনি বইতে পারেন নাই। সুদূর জার্মানির মিউনিখে তিনি রহস্যজনকভাবে মারা যান। এই যে বাংলাদেশ মনে পড়ে কি সেদিনগুলোর কথা ?

লেখক: সহ-সভাপতি, নাটোর জেলা ছাত্রলীগ ( ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত….  ২৩ জুলাই, ২০১৮ )