বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

গরু আসছে রাজধানীর হাটে, বিকিকিনি রোববার থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরু-মহিষ, খাসি-ভেড়া আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সরগরম হয়ে উঠলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৩ টি পশুর হাটে রোববার থেকে পশু বিকিকিনি শুরু হবে।

রাজধানীর একাধিক পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, এরইমধ্যে অনেক হাটে গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। ট্রাকের পর ট্রাক গরু আসছে। ইজারাদাররা আশা করছেন, হাটে এবার পর্যাপ্ত গরু থকেবে।

আগামাী ২২ জুলাই (বুধবার) পালিত হবে ঈদুল আজহা। । ঈদের তিন দিন আগে থেকে সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত হাটে পশু ওঠার কথা থাকলেও পশু আসছে দু-তিন দিন আগে থেকেই।বেচা-কেনা শুরু না হলেও হাটগুলো সার্বিক প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এবারের ঈদুল আজহাতে রাজধানীর ২৩টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাটের যেসব এলাকায় বসবে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মেরাদিয়া, উত্তর শাহজাহানপুর, হাজারীবাগ মাঠ, শ্যামপুর বালুর মাঠ, রহমতগঞ্জ লেখার মাঠ।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোশেন এবার ১০টি পশুর হাট বসাবে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কুড়িল ৩০০ ফুট সড়কসংলগ্ন হাট, বসিলা, মিরপুর ডিওএইচএস, খিলক্ষেত বনরূপা, ভাটারা হাট। তবে এ বছর আফতাবনগর পশুর হাটের অনুমতি দেয়নি সিটি করপোরেশন।

গাবতলী গবাদিপশুর হাটের পরিচালক রাকিব ইমরান বলেন, ‘বড় বড় গরু চলে আসছে কিছু। আরো কিছু গরু ঢুকবে। রোববার থেকে গরু কেনাবেচা শুরু হয়ে যাবে। হাটের চারপাশে ছয় সাতশো ভলান্টিয়ার কাজ করছে।’

এদিকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে যাতে নির্বিঘ্নে ক্রয়-বিক্রয় হয়, সেজন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ হতে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাটে থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেই সাথে জাল টাকা সনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে।

গবাদি পশুর হাটের প্রস্তুতি দেখতে আসা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আমরা আশা করি তারা বরাবরের মত এবারো তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবে।’

মেয়র সাঈদ খোকন আরো বলেন, ‘আশ্বস্ত করে বলতে পারি কোরবানির পশুর সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। বিশেষ করে দেশি গরু ও ছাগলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।’

প্রতিবারের মতো এ বছরও শতকরা পাঁচ টাকা হারে অর্থাৎ হাজারে পঞ্চাশ টাকা হাসিল নির্ধারণ করেছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।