বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটিতে গোলাপ গ্রামে

অফিস বা ক্লাস প্রতিনিয়ত কারই বা ভালো লাগে ? একই কাজ করতে করতে মানুষ স্বভাবতই বিরক্ত হয়ে ওঠে । তাই সে খোঁজ করে ভিন্ন কিছুর। ঈদের ছুটিতে এমনই এক ভিন্ন কিছুর স্বাদ দিতে পারে গোলাপ গ্রাম। ঢাকার অদূরে সাভারের সাদুল্লাপুরের গ্রামটি গোলাপ গ্রাম হিসেবে পরিচিত।

গাড়ির উৎকট ধোয়া, রাস্তার পাশে আবর্জনার গন্ধ আর কংক্রিটের বেড়াজাল থেকে স্বস্তির শ্বাস নিতে ঘুরে আসতে পারেন গোলাপগ্রাম থেকে । গোলাপ চাষিরা সযত্নে গোলাপ গাছগুলোতে পরিচর্চা করছে । রাশি রাশি গোলাপ একসাথে দেখে আপনার মন অভিভূত হয়ে যেতে পারে। গ্রিক মিথ অনুযায়ী, প্রেমের দেবী ভেনাসের রক্ত থেকে গোলাপের সৃষ্টি হয়েছে । তাই চারপাশে চোখ জুড়ানো গোলাপের সমারোহ দেখে মনের ভিতর এক কাব্যিক প্রেমের অনুভূতি সৃষ্টি হতেও পারে । ইচ্ছে করলে এসব গোলাপ কিনতেও পারেন । ২০-২৫টা গোলাপ ১০০ টাকার বিনিময়ে কিনে নিতে পারেন আপনি ।

গোলাপের চাহিদা আর মৌসুম অনুসারে মূল্য নির্ধারিত হয়। সাধারণত গ্রীষ্ম ঋতুতে ফুল কম ফোটায় গোলাপের মূল্য বেশি থাকে । তবে শীতে প্রচুর গোলাপ ফোটায় এর মূল্য নেমে যায় । এখানকার ক্ষেতগুলোতে গোলাপের সাথে জারবেলা, গ্লাডিওলাস আর কিছু সবজিও চাষ হয়ে থাকে ।

এখানকার কোনো কোনো গোলাপ গাছগুলো ২০ বছর বয়সী, আবার কোনোটার বয়স ১০ বা ৫ বছর, কোনটা আবার ১ বছর বয়সী । গোলাপ ফুল দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বেঞ্চযুক্ত ছোট ছোট চৌচলা ঘর তৈরি করে দেওয়া আছে।

যেভাবে যাবেন

ঢাকার খুব কাছেই সাভারে তুরাগ তীরে সাদুল্লাপুরে (গোলাপ গ্রাম) অবস্থিত। ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে আপনি গাবতলী আসতে পারেন। ভাড়া ২০-২৫ টাকা। এরপর গাবতলী বাসস্টান্ড থেকে যেকোনো বাসে সাভার বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে নামতে হবে। গাড়ি ভাড়া ২৫ টাকা। ওভারব্রিজ পার হয়ে পূর্ব দিকের বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তায় ব্যাটারিচালিত হ্যালো বাইকে করে ভাড়া ২০ টাকা দূরত্ব হবে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। চলে যাবেন স্বপ্নের মতো সুন্দর গোলাপ গ্রামে।

খাবারের ব্যবস্থা নিজেকে করে নিতে হবে। অপরুপ সুন্দর আর মন ভালো করে দেওয়ার মতো জায়গা হলো গোলাপ গ্রাম। এই গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য আপনার যান্ত্রিক জীবনের অনেকটা ক্লান্তি দূর করে দেবে। পুরো গ্রামটা যেন রক্ত টকটকে লাল গোলাপের সমারোহ। আপনি ইচ্ছে করলে নিজের ইচ্ছেমতো গোলাপ ফুল ক্রয় করে নিয়ে আসতে পারবেন গোলাপ ফুলের বাগান থেকে।

পরামর্শ

গোলাপ বাগানে গিয়ে গোলাপ ছিড়বেন না। গ্রামে ভালো খাবারের হোটেল না থাকায় আপনি খাবার নিয়ে যেতে পারেন। গ্রামের মানুষ বিরক্ত বা তাদের অসুবিধা হয় এমন কাজ করবেন না।