বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট নেই!

তিন দিন পরেই ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে এসেও অনেকেই আকাশপথে যাত্রা করে প্রিয়জনের কাছে যেতে দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের খোঁজ নিচ্ছেন। রেলপথের আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে না পারা ও সড়কপথের ভোগান্তি এড়াতে বাড়তি দামে হলেও এয়ারলাইন্সগুলোর কাউন্টারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে অনেকে। ট্রাভেল এজেন্টদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন তারা। যদিও অভ্যন্তরীণ রুটের সব টিকিট ফুরিয়ে গেছে আরও আগেই।

বনানীতে নভোএয়ারের কাউন্টারে কথা হয় ভ্রমণকারী জয়নাল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদে গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই বিমানের টিকিট নিতে এলাম, কিন্তু পেলাম না। মনে হচ্ছে, বাড়ি যাওয়া হবে না।’

মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থী অমিত রায়  বললেন, ‘ভেবেছিলাম বিমানে রাজশাহী গিয়ে তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে পাবনা যাবো। কারণ বাস-ট্রেন কোনোটারই আগাম টিকিট কাটা হয়নি। কিন্তু কোনও এয়ারলাইন্সেই টিকিট পেলাম না।’

দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল; অভ্যন্তরীণ এই সাতটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা।

রিজেন্ড এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে টিকিট সোল্ড আউটঅন্যদিকে নভোএয়ার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, যশোর ও সৈয়দপুর; এই ৬টি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। যশোর, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার— এই চারটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ  বলেন, ‘ঈদের সব রুটের টিকিট আগস্টের শুরুতেই বিক্রি হয়ে গেছে। তারপরও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত টিকিটের খোঁজ করছেন।’

নভোএয়ারের ওয়েবসাইটে টিকিট সোল্ড আউটজানা গেছে— এয়ারলাইন্সগুলো ঈদে যশোর, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রাম রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ঈদের ফ্লাইট উড়তে শুরু করেছে তাদের। যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর ও বরিশাল রুটে তুলনামূলকভাবে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। অন্যদিকে সব এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম রুটে সর্বোচ্চসংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করে বলে এবং কোনও কোনও যাত্রীর টিকিট রিফান্ড করার কারণে এখনও টিকিট মিলছে। তবে এক্ষেত্রে মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম  বলেন, ‘সড়কপথে দীর্ঘ সময় ও ভোগন্তি এড়াতে আকাশপথে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে যাত্রী বেশি থাকে। এখনও অনেকে টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আমাদের কাছে আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই।’

 

বাংলা ট্রিবিউন