বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রিসভায় ‘সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক নিয়োগ এবং উন্মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, বিদ্যমান ছয়টি আইনকে সম্পৃক্ত করে এই নতুন আইন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পূর্ববর্তী আইনের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে এই নতুন আইনে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এই আইন বিদ্যমান ছয়টি আইনকে প্রতিস্থাপিত করবে।

প্রতিস্থাপিত আইনগুলো হচ্ছে- পাবলিক সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট অ্যাক্ট, সার্ভিস রিঅর্গানাইগেশন অ্যাক্ট, পাবলিক সার্ভিস স্পেশাল প্রভিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯, পাংচুয়াল এটেনডেন্স অ্যাক্ট ১৯৮২, ডিসমিসাল এন্ড কনভিকশন অ্যাক্ট ১৯৮৫ এবং সারপ্লাস গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাকোমোডেশন অ্যাক্ট। নতুন আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মজীবীদের পদোন্নতি মেধা, প্রতিদ্বন্ধিতা, জ্যেষ্ঠতা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মক্ষেত্রে সন্তোষজনক কর্মকান্ডের ওপর বিবেচিত হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারিকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না।

নতুন আইন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। চাকরির ক্ষেত্রে বয়স সীমা ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর।

মন্ত্রিসভা এদিন ইনফেক্টাস ডিজিজেজ (প্রিভেনশন, কন্ট্রোল এন্ড এরাডিকেশন) অ্যাক্ট ২০১৮ এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। যেখানে ২৩ রোগকে সংক্রামক রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়।

এই আইন অনুযায়ী সরকার নতুন আসা কোন রোগকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে এবং এর প্রতিরক্ষা, নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময়ের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে।

এই আইনে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকান্ড মনিটরিং-এর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান করে একটি ১৩ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশে সংক্রামক রোগগুলো বাংলাদেশ ম্যালারিয়া ইরাডিকেশন বোর্ড রিপিল অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ এবং প্রিভেনশন ম্যালেরিয়া স্পেশাল প্রোভিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৮ দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

সচিব বলেন, নতুন নতুন রোগের আমগণের প্রেক্ষিতে সেসব রোগ থেকে জনগণকে রক্ষার জন্যই এই নতুন আইন করা হয়েছে। রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সতর্কতা জারি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনগণকে শিক্ষা দান এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলা।

নতুন আইনে কোন ধরনের সংক্রামক রোগ সম্পর্কে তথ্যগোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এদিন মন্ত্রিসভায় ইট তৈরি ও ইটভাটা নির্মাণ (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৮’র খসড়া এবং বিমসটেক কনভেশন অন মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটারস’এর খসড়াও অনুমোদিত হয়।