বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় পরিবারকে একঘরে!
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার অপরাধে একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। উপজেলার চাঁনমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার সিন্দুরখা ইউনিয়নের চাঁদমারি গ্রামের এ ঘটনায় মেয়ের মা লুৎফুন্নেছা বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ইউপি সদস্য নোয়েল মিয়াসহ মো. নূর হোসেন, মো. রফিক মিয়া, মো. ফারুক মিয়া ও মো. সুরাব মিয়াককে আসামি করে অভিযোগ করেছেন।
থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত জুন মাসে গ্রামের বাসিন্দা মো. নূর হোসেন তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে লুৎফুন্নেছার মেয়ে ফারজানা আক্তারের বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে ও তার মেয়েকে তিনমাস যাবত একঘরে করে রাখা হয়েছে। গ্রামের কেউ তার বাড়িতে আসেন না। কথাও বলেন না। এছাড়া এ বছর এলাকার কারো সঙ্গে শরিক হয়ে কোরবানিও দিতে দেয়া হয়নি ওই পরিবারটিকে। এসব কারণে ভুক্তভোগী ফারজানা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন।
তিন মাস পর এখন আবার সমাজে ফেরানোর জন্য নূর হোসেন ২০ হাজার টাকা দাবি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বাদী লুৎলুফুন্নেছা।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার উপ পরিদর্শক এএসআই মো. আল আমীন বলেন, ‘তদন্ত শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ ঘটনা যতটুকু জানতে পেরেছি, গ্রামের ১০-১২ জন নাকি একটি কাগজে স্বাক্ষর করে সমাজচ্যুত করেছে পরিবারটিকে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, এইমাত্র এ বিষয়টি আমি জানলাম। সমাজচ্যুত করার বিষয়টি আইনত গর্হিত অপরাধ। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ওসিকে নির্দেশনা দিব।’