শুক্রবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘আজ থেকে আমরা কাছে এলাম, সম্পর্ক আরও গভীর হলো’

ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে বাংলায় অভিবাদন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সে আরো আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পুরো ভাষণ হিন্দিতেই দিয়েছেন মোদি। তবে শেষ দিকে আবারও বাংলায় কথা বললেন। এবার মোদি পরিষ্কার বাংলায় বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আরো কাছে এলাম। আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হলো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে সোমবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর গ্রিড থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আন্তঃবিদ্যুৎ সংযোগ গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বোধন করেন। এ সময় এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে আজ সোমবার বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।এ ছাড়া বংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেললাইন প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণকাজও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

একই অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল সংযোগ পুনর্বাসন প্রকল্পেরও নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিমসটেক সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। এর আগে মে মাসে শান্তি নিকেতনে, এপ্রিলে কমনওয়েলথ সম্মেলনের সময় সাক্ষাৎ হয়।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, প্রতিবেশী দেশের নেতাদের সঙ্গে প্রতিবেশীর মতোই সম্পর্ক হওয়া উচিত। যখন ইচ্ছা হয় তখন কথা বলা উচিত, যখন দরকার তখন সফর হওয়া প্রয়োজন। এসব ব্যাপার নিয়ে প্রটোকলের বন্ধনে থাকা উচিত না।’

মোদি বলেন, ‘অনেক সাক্ষাতের বাইরে এটা আমাদের চতুর্থ ভিডিও কনফারেন্স। নিকট ভবিষ্যতে আরো একটি ভিডিও কনফারেন্সও হবে।’

বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানান মোদি।মোদি বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলার রেল সংযোগের কাজ শেষ হলে আমাদের ক্রস বর্ডার সংযোগে নতুন অর্জন আসবে। এ জন্য আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেকেও অভিনন্দন জানাই।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র করার তাঁর ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় হবে। আমার বিশ্বাস যেভাবে আমরা আমাদের সম্পর্ক বাড়াবো আর মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করব সেভাবে আমরা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন আকাশও স্পর্শ করব।’