রবিবার, ৭ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২২শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তে ইলিশ আর ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েক দিন ধরে তুলনামূলকভাবে সস্তায় ইলিশ মিলছিল বাজারে। আর দুই দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে ইলিশ ধরা ও বেচাকেনা। শেষ মুহূর্তে তাই কিছুটা দাম বেড়েছে ইলিশের। প্রজনন মৌসুমের কারণেই প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এমন পদক্ষেপ নেয় সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন-চার দিনের ব্যবধানে মাঝারি আকারের ইলিশের দাম ১০০ টাকার মতো বেড়ে গেছে। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ বাজারভেদে ২৪০০-২৮০০ টাকা, ৯০০ গ্রামের বেশি কিন্তু এক কেজির কম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ ৩২০০-৩৫০০ টাকা, ছোট আকারের অর্থাৎ আধাকেজির কম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম আরো বেশি। কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে গতকাল সকালে এক কেজি ১০০ গ্রামের কাছাকাছি ওজনের দুটি ইলিশ দুই হাজার ৬০০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে একজন ক্রেতাকে।

আল-আমিন নামের ওই ক্রেতা বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) ইলিশের দাম একটু বেশি। আর দুই দিন পর বিক্রি বন্ধ হবে। এই কারণে হয়তো বেশি নিচ্ছে।’

বিক্রেতারা জানান, ইলিশের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ৬ তারিখের পর থেকেই আর ইলিশ বিক্রি হবে না। ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে ২২ দিন। এ কারণে অনেকেই বেশি করে ইলিশ কিনে রাখছে। সামনে দুর্গাপূজা। এই উৎসব ঘিরে অনেকেই বাড়তি ইলিশ কিনে রাখছে। এর একটা চাপ পড়েছে বাজারে।

কারওয়ান বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কম-বেশি যা-ই হোক, মাছ বিক্রি করে ফেলতে হচ্ছে। তবে ক্রেতাও আসছে বেশি। ৬ তারিখে বিক্রি শেষ হবে, ৭ তারিখ থেকে কোনো মাছ বাজারে এবং আড়তে কোনো জায়গায়ই থাকবে না। সব চিন্তা করেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’

রামপুরা বাজারে দুই দিন আগেও ৭৫০ গ্রাম ওজনের যে ইলিশ দুই হাজার ৪০০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন ২০০ টাকা বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। এর কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই, হিসাব কইর্যা ইলিশ আনতে হইতাছে। মাঝখানে ৫ ও ৬ তারিখ বাকি। এর মধ্যে মাছ জইম্যা গেলে লস খাইতে হইব।’ তবে একটু বাড়তি দাম হলেও বিক্রি ভালো বলে জানান তিনি।

সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও শসার চড়া দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শসা এখন ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৮০-৮৫ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা মান ভেদে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের দামের ব্যবধান অনেক বেশি। আনিস মিয়া নামের এক ফরিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো সিজন শুরু হয় নাই, যে কারণে দাম একটু বাড়তি। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই দাম কমবে।’

এদিকে আমদানি করা টমেটো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।কালের কণ্ঠ