সোমবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৩০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

যৌন হেনস্থার অভিযোগে পদত্যাগ করছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

‘মি টু’ আন্দোলনে ভাসছে বলিউড। একের পর বলিউড তারকা তুলছেন যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বলিউড ছাপিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগের হাওয়া লেগেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।

সম্প্রতি সাবেক সম্পাদক ও বর্তমান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন ৬ জন মহিলা। আকবর ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পরে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মোদী মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে যে, আকবরকে নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বিজেপিতে। ফলে তাকে ইস্তফা দিতে বলা হতে পারে।

এদিকে এম জে আকবর বর্তমানে নাইজেরিয়া সফরে রয়েছেন । তাঁকে দ্রুত সফর শেষ করে ফিরে আসতে বলা হয়েছে বলেও কোনও কোন মহল থেকে বলা হচ্ছে।

সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের দাবি, এম জে আকবরকে নিয়ে বড় ঘোষণাও হতে পারে। আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তার পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীরা সরব হয়েছে।

বিজেপির শরিক শিবসেনাও তদন্ত দাবি করেছে। বৃহষ্পতিবার (১১ অক্টোবর) শিবসেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যদি স্বচ্ছ্বতায় বিশ্বাস করে তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা উচিত।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘প্রকাশ্যে যে তথ্য উঠে আসছে তা খুবই মারাত্মক।’ সিপিআইএমও আকবরের ইস্তফা দাবি করে বলেছে, ‘আকবরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে তার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওযা উচিত।’

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সাংবাদিক প্রিয়া রামানি ও প্রেমা সিং বৃন্দা অভিযোগ করেছেন, আকবরের অধীনে কাজ করার সময় তারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এর পরই আরও কয়েকজন নারী সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন। মোট ৬ জন নারী অভিযোগ তুলেছে আকবরের বিরুদ্ধে।

প্রথম রামানি টুইটে বলেছিলেন, ‘একজন সম্পাদক তাকে মধ্যরাতে কাজ নিয়ে কথা বলার জন্য হোটেলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রত্যাখ্যান করায় আমাকে নানাভাবে হয়রাণির শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু নানা বাধ্যবাধকতার জন্য তখন মুখ খুলতে পারিনি।’ পরের দিনই রামানি টুইট করে জানান, সেই সম্পাদক হলেন এম জে আকবর।

অন্য এক নারী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, তাকে একবার আকবর আদর করার চেষ্টা করেছেন।

আকবর দীর্ঘ সময় কলকাতা থেকে প্রকাশিত টেলিগ্রাফ ও সান পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে গিয়ে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন তিনি। এবার দেখা যাক যৌন হয়রানির অভিযোগে তার মন্ত্রীত্ব টিকে কিনা।

সূত্র: ব্রেকিংনিউজ