শনিবার, ২০শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৫ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

এক পাল পিঁপড়া নাকের ও কানের ফুটো দিয়ে সারিবেঁধে ঢুকছে, একদল ব্রেনের মধ্যে ঢুকে মগজ কাটতে লাগল…..

লাশটি কবরে শুয়ে আছে! এক পাল পিঁপড়া নাকের ও কানের ফুটো দিয়ে সারিবেঁধে ঢুকছে। একদল ব্রেনের মধ্যে ঢুকে কুটকুট কুটকুট করে মগজ কাটতে লাগল, আরেকদল নাড়িভুঁড়ি ফুটোকরতে শুরু করল। আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!
একটা গোখরা সাপ ঢুকে পড়েছে কবরে। বিশাল এক ফণা তুলে এক ছোবলেএকটা চোখতুলে মুহূর্তেই গিলে ফেলল, পরক্ষণেই আরেকটা চোখে ছোবল বসাল। চোখবিহীন লাশটাকে কী ভয়ংকরই না দেখাচ্ছে। আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!
কোথা থেকে চারটা দুষ্টু শেয়াল এসে খামচে খামচে কবরের মাটি আঁচড়াতে লাগল। একসময় তারা তাদের খাবারের সন্ধান পেল। ক্ষুদার্থ, তৃষ্ণার্ত শেয়ালগুলো শরীরের পচাগলা অংশগুলো ধারালো দাঁত দিয়ে টেনে টেনে ছিড়তে লাগল। একপর্যায়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি নিয়ে মারামারি লেগে গেল, একজনের মুখ থেকে আরেকজন ছিনিয়ে নিচ্ছে
মাংসের টুকরা। আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!
বর্ষার পানিতে কবর ডুবে গেল। লাশটি কবরের মধ্যে ভাসতে শুরু করল। ভাসতে ভাসতে একবার উপরে উঠে আবার নিচে ডুবে যায়, এভাবে
চলতে থাকে লাশের লীলা-খেলা। আহ্কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!

গ্রীষ্মকালে শরীরের মাংস পচতে শুরু করে। গরমে, তাপে শরীর থেকে রশ বের হয়ে পিঠের নিচে পানি জমে যায়। সেখান থেকে পোকার সৃষ্টি হয় এবং এসব পোকা কিলবিল কিলবিল করতে থাকে লাশের শরীরে। আহ্কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!
একসময় শরীরের মাংস বিলীন হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকে শুধুহাড়। হিংসুটে, পাষাণ, নির্দয় মাটি সেই হাড়টুকু তাঁর পাওনা অংশ হিসেবে
কুটরে কুটরে খেতে থাকে। আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!
এভাবেই বিলীন হয়ে যায় একেকটি মানব শরীর। কতই না রহস্য লুকিয়ে আছে ঐ কবরে। আহারে! আহারে! চিৎকার কেউ শুনবেনা । এখন ও সময় আছে