বুধবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৯ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

যে বস্তু রাসূল (সা.) ফেলে দিয়েছেন তা কখনোই গ্রহণ করবো না: সাহাবী

ইসলাম ডেস্ক।। নারীর গহনার ব্যাপারে ইসলাম অনেকটা নমনীয়। কিন্তু পুরুষের গহনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক নিয়মনীতি। যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। পুরুষরা কোনো ক্রমেই মহিলাদের ন্যায় গহনা ব্যবহার বৈধ নয়। জেনে রাখা উচিত যে, গহনা বেশির ভাগই স্বর্ণ বা রুপা দ্বারা হয়ে থাকে। সে হিসেবে হাদিস দ্বারা আমরা জানতে পারি পুরুষরা স্বর্ণ ব্যবহার হারাম। যদিও ইসলামের প্রাথমিক যুগে পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহারের অনুমতি ছিল। পরে তা পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যার সম্পর্কে হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।

রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)।

স্বর্ণ ব্যবহার হারাম হওয়ায় অন্য হাদিসে উল্লেখ আছে যে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (সা.) একদা এক ব্যক্তির হাতে স্বর্ণের আংটি দেখতে পেলেন। তখন তিনি তা খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন। বললেন, তোমাদের কেউ কেউ জাহান্নামের জলন্ত অঙ্গার নিয়ে হাতে পরিধান করে। রাসূল (সা.) উক্ত স্থান থেকে প্রস্থানের পর উক্ত ব্যক্তিকে বলা হল, উক্ত আংটিটি নিয়ে কাজে লাগাও। উক্ত সাহাবা (রা.) বললেন, না।

আল্লাহর কসম! যে বস্তু রাসূল (সা.) ফেলে দিয়েছেন তা আমি কখনোই গ্রহণ করবো
না। (সহিহ মুসলিম)

হাদিসে রুপার আংটি পরার অনুমতি দিলেও তা ততটা গুরুত্ব বহন করে না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এক লোক আগমন করল, যার হাতে ছিল একটি লোহার আংটি। তখন রাসূল (সা.) বললেন, তোমার হাতে দোজখিদের পোশাক দেখছি কেন? তখন সে ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। দ্বিতীয়বার যখন ওই লোকটি আবার এলো, তখন তার হাতে ছিল পিতলের আংটি। তখন রাসূল (সা.) বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি। তখন সে তা ফেলে দিল এবং বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! তাহলে আংটি কোন বস্তু দ্বারা তৈরি করব? তখন রসূল (স) বললেন, রুপার আংটি তৈরি করতে পারো। তবে তা যেন সাড়ে চার মা’শা (৪.৮৬ গ্রাম) হতে কম হয় (সহিহ নাসাঈ)।

পুরুষদের জন্য হাতে চুড়ি, বালা, রঙিন সুতা, ব্রেসলেট ব্যবহার করা বিদআত। কেননা, ইসলামে কোনো ক্রমে এ গুলি ব্যবহারের স্থান নেই। (বেহেশতি জেওর, বিদআত অধ্যায়) তাছাড়া পুরুষরা হাতে চুড়ি ও বালা পরিধান করলে তা নারীদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে যায়। আর ইসলামে নারী-পুরুষের ও পুরুষ-নারীর সাদৃশ্য হওয়া নিষিদ্ধ। তারা সবসময় হতে থাকে অভিশপ্ত। যার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেন। ‘আল্লাহ তা’আলা সেইসব মহিলাদের উপর অভিশাপ করেছেন যারা পুরুষের
বেশ ধারণ করে এবং সে সকল পুরুষদের উপর অভিশাপ যারা মহিলাদের বেশ ধারণ
করে। (সহিহ বোখারি)