শনিবার, ৩রা নভেম্বর, ২০১৮ ইং ১৯শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যোগ হতে হচ্ছে আরও একটি ইউনিটট 

নিজস্ব প্রতিনিধি : এক হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যোগ হতে যাচ্ছে ৪২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি ইউনিট। আর এর নাম দেয়া হয়েছে ‘৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ (পূর্ব)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুর রহমান। আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, ‘৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নামে এ ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এডিবির কাছ থেকে ১০৭ কোটি টাকা, আইডিবির কাছ থেকে ৮৫ কোটি টাকা, জিওবির কাছ থেকে ৪০৫ কোটি টাকা ও আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিজস্ব ১৫২ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৭৩.৮৩ কোটি টাকা। ইউনিটটির কাজ করছে চায়না কোম্পানি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএনটিআইসি) ও চায়না ন্যাশনাল করপোরেশন ফর ওভারসিস কোঅপারেশন কনসোরটিয়াম (সিসিওইসি)।

প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে চলতি মাসের ২০ মার্চ এবং কাজ শুরু হয়েছে ১৬ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে। প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে এর থেকে পাওয়া যেতে পারে প্রায় ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর দক্ষতা রয়েছে প্রায় ৫৮.৭৬ শতাংশ। আরও আগেই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করার কথা থাকলেও সময় না পাওয়ায় এটি পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুর রহমান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিচালক একেএম ইয়াকুব, ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।