সোমবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ৩৮ নেতা-কর্মী ৫ দিনের রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ৩৮ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম) আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে পল্টন থানা-পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬৫ জন নেতা-কর্মীকে আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আবেদন করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।

এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামিদের জামিন চান।
আদালতে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন নিষিদ্ধ। অথচ সে দিন বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। অপরদিকে নবী উল্লাহ নবী এবং কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরও দুটি মিছিল আসে। এরপর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।

তারা নয়াপল্টনের ভিআইপি রোড বন্ধ করে দিয়ে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এসময় রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানো হয় বিএনপি অফিসে থাকা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে। বিএনপি অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঘোষণা চেয়ে অনুরোধ করা হয়। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা বিএনপির অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের গাড়ির শোরুমের উত্তর পাশের রাস্তায় পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছোড়ে।

রিমান্ড আবেদনে পুলিশ আদালতকে আরও জানায়, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভী, আফরোজা আব্বাস, নবীউল্লাহ নবী, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান ও কফিল উদ্দিনদের প্রত্যক্ষ মদদে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে এই হামলা চালানো হয়। পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এর আগে বিকেল চারটার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যার সময় তাদের আদালতে তোলা হয়।

গেল বুধবার দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আরটিভি অনলাইন

এ জাতীয় আরও খবর

কারা সাক্ষাৎকার নেবেন সেটা বিএনপির নিজেদের ব্যাপার : মির্জা ফখরুল

‘রেজা কিবরিয়া ধানের শীষে যাওয়ায় আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই’

আত্মসমর্পণ করতে হবে নাজমুল হুদাকে

কয়টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হলো বি. চৌধুরীর দলের?

খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার গল্প নিয়ে বই

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে

আবারো নারায়ণগঞ্জ রণক্ষেত্র !

আইনে থাকলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ইসি

‘অবৈধর পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রেরও অপব্যবহার রোধ করা হবে’