বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

৩০ দিন রোজা কেন?

ramadannnnরমজান অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া। আর রমজান এক বছরের ছোট গুনাহ বা ছগিরা গুনাহ জ্বালিয়ে দেয়। তাই প্রতি বছর মুমিন ব্যক্তির ছগিরা গুনাহসমূহ জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য রমজান মাস আসে। রমজান মাসে যেসব গুনাহ মাফ হয় তা ছগিরা গুনাহ। নামাজ, রোজা, নেক কর্মদ্বারা গুনাহ ছগিরা মাফ হয়। (সূত্র : বুখারি, তিরমিজি) বড় গুনাহ বা কবিরা গুনাহ তাওবার মাধ্যমে মাফ হয়। আর তাওবা মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে কবুল হয়। (সূত্র : মুসনাদে আহমদ)

রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার তাৎপর্য হলো, যখন আদম (আ.) জান্নাতের গাছের ফল খাওয়ার পর তা ৩০ দিন পেটে ছিল। যখন তিনি খাঁটি তাওবা করলেন তখন আল্লাহ ৩০ দিন তার রোজা রাখার হুকুম দিলেন। তার অপরাধ ও দেহ থেকে খাদ্যের উপকরণ দূর করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন। (দুররাতুন নাছেহীন : ২৯)

অন্য রেওয়ায়েতে আছে, মানুষ কোনো খাদ্য খেলে তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে। তাই আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) গন্ধম খেলে তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত থাকবে। সেজন্য অপবিত্র খাদ্য থেকে পবিত্র করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন। (মাজালিসুল আবরার)

আল্লাহতায়ালা আদম ও হাওয়াকে সৃষ্টি করার পর জান্নাতে বসবাস করার জন্য আদেশ দিলেন এবং বললেন যে, নিষিদ্ধ গাছের নিকটে যেও না। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আদম ও হাওয়া গাছের ফল খেলেন এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে তাদের দুনিয়াতে পাঠালেন।

নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার কারণে আদম (আ.)-এর দেহের রং কালো হয়ে যায়। তখন ফেরেশতা আদমের দেহের রং পূর্বের ন্যায় পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তখন আল্লাহ চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে অহি পাঠালেন। আদম (আ.) অহি অনুযায়ী রোজা রাখলেন। এতে তার গায়ের রং উজ্জ্বল হলো। এ কারণে এ তিন দিনকে আইয়ামে বীজ বা উজ্জ্বল দিবস বলা হয়। দুনিয়ার প্রথম মানব আদম (আ.) রোজা রাখার পদ্ধতি চালু করেন। (গুনিয়াতুত তালেবিন)

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন