রবিবার, ৩রা জুন, ২০১৮ ইং ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

প্রাণঘাতী ডিপথেরিয়া মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্রিটিশ চিকিৎসা দল

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী ডিপথেরিয়া মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের জরুরি চিকিৎসা দলের ৪০ জনেরও বেশি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী কক্সবাজারে পাঠাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন আজ বৃহস্পতিবার জানায়, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত বুধবার একটি অগ্রবর্তী দল কক্সবাজার সফর করেছে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে আজ বাকি কর্মীদের আসা শুরু হয়েছে। ওই কর্মীরা যুক্তরাজ্যের জরুরি চিকিৎসা দলের (ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম, সংক্ষেপে ইএমটি) সদস্য। ইএমটি গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ পাওয়ার পর এবারই প্রথম তাদের মোতায়েন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কয়েক ডজন চিকিৎসা কর্মী কক্সবাজারে পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, কয়েক দশক আগে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হওয়া ডিপথেরিয়া আবারও ফিরে এসেছে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, ডিপথেরিয়া ভাইরাসে ইতিমধ্যে ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো দুই হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ডিপথেরিয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু রোহিঙ্গাদেরই নয়, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যেও ডিপথেরিয়া ভাইরাস আরো সংক্রমনের আশঙ্কা রয়েছে।

এটি মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত জনবল বা ব্যবস্থা কক্সবাজারে নেই।
আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ব্রিটিশমন্ত্রী পেনি মরডন্ট ডিপথেরিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর সংক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অত্যন্ত জটিল এই পরিস্থিতিতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কায় আছে।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ ব্রিন ডিপথেরিয়া মোকাবিলায় চিকিৎসা জনবল পাঠানোকে তাঁর দেশের জন্য গর্বের বলে অভিহিত করেন।

বিবিসির ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের জরুরি চিকিৎসা দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে ছয় সপ্তাহ ধরে থাকবে এবং ডিপথেরিয়া মোকাবিলায় কাজ করবে। সীমান্তবিহীন চিকিত্সক দল (এমএসএফ) বলেছে, ডিপথেরিয়া সংক্রমিত রোগীদের অধিকাংশের বয়স পাঁচ থেকে ১৪ বছর।

Print Friendly, PDF & Email