বুধবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ২রা ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিলিস্তিনের মাটিতে পা রাখলেন মোদি

ঐতিহাসিক সফরে ফিলিস্তিনে পৌঁছেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিলিস্তিনের মাটিতে পা রাখলেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তার ফিলিস্তিনে পৌঁছার খবর নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সহায়তার প্রশ্নে প্রকাশ্যে অস্বস্তিতে পড়া মোদি শুক্রবার ফিলিস্তিন ও উপসাগরীয় অঞ্চলের উদ্দেশে রওনা হন। এই সফরের লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সংহত করা।

এএফপি জানিয়েছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি জর্ডান থেকে রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয়ের কাছাকাছি অবতরণ করে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পর্যটন বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের।

ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় ভারত একসময় উচ্চকণ্ঠ ছিল। তবে সম্প্রতি উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতার কথা বলে ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকেছে দিল্লি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে স্বাভাবিক মিত্র হিসেবে মনে করে। এমন বাস্তবতায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে ইসরায়েল সফর করেন মোদি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভারত সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি একসময় উচ্চকিত থাকা ভারত মোদি জামানায় ক্রমেই ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকে পড়ায় মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোতে দেশটির ভাবমূর্তিতে সংকট তৈরি হয়েছে। এমন বাস্তবতায় ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে ভারত। আর এ কারণেই মোদির সফরে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তি ও শিক্ষাখাতে সহায়তা বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি. বালা ভাস্কর সফর শুরুর আগে বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আমরা আলাদাভাবে বিবেচনা করে থাকি। আমরা তাদের দুটি আলাদা স্বাধীন ও স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে দেখি। আর এই নীতির আওতায় প্রধানমন্ত্রী এই সফরে যাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email