বুধবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ২রা ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি, সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

শনিবার বিকালে নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে একজন সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে নেত্রীকে। সেখানে অন্য কোনও কারাবন্দি নেই। এটি অন্যায়, আমরা এ বিষয়ে আদালতে যাব।

মওদুদ আরও বলেন, রায়ের সত্যায়িত কপি পেলে আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার জামিনের জন্য আপিল করা হবে।

খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ম্যাডাম স্বাভাবিক আছেন, ভালো আছেন তবে তার শরীরের অবস্থা ভালো না।

খালেদা জিয়ার ডিভিশন পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলকোড অনুযায়ী তিনি ডিভিশন পান। তিনি যেহেতু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সিনিয়র নাগরিক তাই তার এ সুবিধা পাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সরকার বলেছে ম্যাডামকে তার গৃহপরিচারিকা ও ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা আজ দেখে এসেছি, এসব মিথ্যা। তাকে একটা নির্জন ভাঙা বাড়িতে রাখা হয়েছে। উনার খাবারের ক্ষেত্রেও কোনও পরিবর্তন নেই। সাধারণ বন্দিরা যে খাবার পান, তাকেও সেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। ম্যাডাম এসব খাবারে অভ্যস্ত না।

এর আগে বিকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি দল কারা ফটকে পৌঁছান।

মওদুদের সাথে থাকা অন্য আইনজীবীরা হলেন- ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।

রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email