বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নিজ বাড়িতে মালালা

তালেবানের গুলিতে আহত হয়ে দেশ ছাড়ার প্রায় ছয় বছর পর গত বুধবার নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানে ফিরতে পারলেও তিনি নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন কিনা তা শুক্রবার পর্যন্ত ছিল অনিশ্চিত। কারণ তার জন্মস্থান সোয়াত উপত্যকার মিনগোরা এলাকা এখনও জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে।

অবশেষে সব শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে শনিবার মিনগোরায় নিজ বাড়িতে ফিরেন তিনি। নিজ ভূমিতে ফিরে মালালা তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, নিজের বাড়িতে আবার পা রাখতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।

শনিবার একটি হেলিকপ্টারে করে মিনগোরায় পৌঁছান মালালা। নিজ বাড়িতে মালালার আগমন উপলক্ষে সোয়াত উপত্যকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ওই এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

চার দিনের সফরে গত বুধবার রাতে পাকিস্তানে আসেন তিনি। ২০ বছর বয়সী মালালা বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাস করছেন। সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পাওয়া মালালা।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসির বাড়িতে এক বক্তৃতায় অংশ নেন তিনি। বলেন, নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য গত ৫ বছর ধরে স্বপ্ন দেখেছেন তিনি।

মালালার জন্ম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১৯৯৭ সালে। নারী শিক্ষার বিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন তিনি। তখন তার বয়স মাত্র ১১ বছর।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা। পাকিস্তানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।