শুক্রবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সালমান খান কেঁদেছেন!

বিনোদন ডেস্ক : সালমান খানকে কেউ কখনো কাঁদতে দেখেছেন? কতটা আঘাত পেলে বলিউডের এমন একজন সুপারস্টার কাঁদতে পারেন, তা যে-কেউ অনুমান করতে পারবেন। হ্যাঁ, কেরালার ভয়াবহ বন্যা আর বন্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে তাঁর চোখ ভিজে গেছে। এরপর এক টুইট বার্তায় তিনি দেশের প্রতিটি মানুষকে কেরালার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সালমান খান এখন আছেন মাল্টায়। সেখানে ‘ভারত’ ছবির শুটিং করছেন। সেখান থেকে টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আসুন, কেরালার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই। আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।’ আরেকটি বার্তায় তিনি বলেছেন, প্রকৃতির রোষে পড়ে কেরালা যেভাবে বন্যায় ভেসে গেছে, তাতে খুবই কষ্ট পেয়েছেন তিনি। কেরালার বানভাসি প্রতিটি মানুষের কষ্ট তিনি অনুভব করছেন।

সালমান খান নিজেও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছেন। এরই মধ্যে তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। এখানে অর্থ কোনো বিষয় না; তাঁর মতে বানভাসি মানুষের জন্য দ্রুত খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তা দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে। সালমানের নির্দেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে কেরালার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের অনেক তারকা। বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক কোটি রুপি দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত, শাহরুখ খান দিয়েছেন ২৬ লাখ রুপি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ দিয়েছেন পাঁচ লাখ রুপি, এষা গুপ্ত দিয়েছেন তাঁর এক দিনের উপার্জন, পুনম পান্ডে তাঁর আগামী ছবি তেলেগু ভাষায় ‘লেডি গব্বর সিং’ থেকে পাওয়া পারিশ্রমিকের পুরোটাই দিয়েছেন, প্রভাস দিয়েছেন ২৫ লাখ রুপি, বিজয় দিয়েছেন ৭০ লাখ রুপি, কুণাল কাপুরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘কেটো’ থেকে ১ দশমিক ২ কোটি রুপি দিয়েছেন।

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজ্যের ১৪টি জেলাতেই সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কেরালায় এখন ২০ লাখ মানুষ বন্যার কবলে। ছয় লাখ মানুষকে তিন হাজার আশ্রয়শিবিরে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে মৃত মানুষের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধারের কাজে নেমেছে ২৩টি হেলিকপ্টার ও এক হাজার লাইফবোট। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন সেনা, নৌসেনা, পুলিশ, দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সদস্য, রেডক্রস, ভারত সেবাশ্রম সংঘসহ দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা।

এদিকে কেরালার আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে, পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।