শনিবার, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৭ই ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

যে দেশে টাকা পড়ে থাকে ডাস্টবিনে!

যে দেশে টাকা- লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এরকম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাত্র দুই কেজি চারশো গ্রাম ওজনের একটি মুরগি কিনতে গুনতে হয়েছে সেই দেশের মুদ্রায় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা!

বলিভিয়ার মুদ্রাকে বলা হয় বলিভার। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও বলিভিয়া ভুগছিল এই সুপার ইনফ্লেশনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলো ২০ আগস্ট থেকে নোটে শেষ পাঁচটি শূন্য বাদ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।

এক লাখ বলিভারের নোট রাতারাতি বদলে গিয়েছে ১ বলিভারে। কিন্তু তাতে মুদ্রাস্ফীতি কম মনে হলেও অর্থনীতির ছবি বিন্দুমাত্র বদলায়নি।

অনেক দিন ধরেই লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে অর্থনীতির প্রচণ্ড খারাপ অবস্থা। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে এক রোল টয়লেট পেপারের দাম পৌঁছেছে ২৬ লাখ বলিভারে।

আলু থেকে গাড়ি- সবই অগ্নিমূল্য। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বলিভিয়ার অর্থনীতির এ পড়ন্ত অবস্থা এতোই খারাপ যে সন্তান প্রসবের জন্য মায়েদের যেতে হচ্ছে পার্শবর্তী দেশে।

বলিভিয়ার অর্থনীতির বেহাল দশার সাথে বিশ্লেষকরা তুলনা করেছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২২ সালে বিধ্বস্ত জার্মান অর্থনীতিকে। তখন জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এতোই বেড়েছিল যে এক টুকরা পাঁউরুটি কিনতে ঠেলাগাড়ি করে নিয়ে যেতে হত জার্মান মুদ্রা মার্কের বান্ডিল।

রাস্তাঘাটে কম মূল্যমানের মুদ্রা জড়ো করে পুড়িয়ে আগুন পোহাতো জার্মানরা। ১৯২৩ সাল নাগাদ ১ ডলারের দাম পৌঁছেছিল ৪ লাখ ২১ হাজার কোটি মার্কে।

উল্লেখ্য, বলিভিয়ার অর্থনীতি তেল নির্ভর। সমস্যার শুরু বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম পড়ে যাওয়া থেকে। সেইসঙ্গে সরকার তেল নির্ভর ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার পরে সমস্যা বেড়েছে।