রবিবার, ২রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৮ই ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মুখের দুর্গন্ধ এবং সমস্যার সমাধান

নিউজ ডেস্ক।। মুখের দুর্গন্ধ (হ্যালিটোসিস) হচ্ছে এমন এক বিব্রতকর অবস্থা, যা ব্যক্তিকে সামাজিক জীবন থেকে দূরে সরিয়ে একঘরে করে ফেলে। মুখের দুর্গন্ধের কারণে মানুষ অন্যের সামনে যেতে লজ্জাবোধ করে। যেসব পন্থা অবলম্বন করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায় তা হলোÑ বাজারে অনেক ধরনের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। অ্যালকোহলয্ক্তু মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখগহ্বর শুষ্ক করে তোলে।

এই পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মে। তাই মাউথওয়াশ ব্যবহার না করে অল্প গরম লবণমিশ্রিত পানি দিয়ে কুলকুচি করা ভালো। তা ছাড়া এটির পরিবর্তে অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।
সজীব নিঃশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় যোগ করা যেতে পারে কয়েক ফোঁটা চা পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল, যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। যারা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন, তাদের উচিত প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। তা হলে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না। বেশিরভাগ মানুষ শুধু তাদের দাঁতই পরিষ্কার করেন কিন্তু জিহ্বা পরিষ্কার করেন না।

তবে একই সঙ্গে জিহ্বাও পরিষ্কার করা জরুরি। বিশেষ টাং স্ক্র্যাপার বা টাং ক্লিনারের সাহায্যে এটি করা যায়। জিহ্বায়ও অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। যাদের মুখগহ্বর বেশি শুষ্ক, তারা দুর্গন্ধের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই তাদের প্রচুর পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বারবার পানি খেতে হবে। মুখের লালা নিঃসরণ বাড়াতে চিনিবিহীন গাম অথবা লজেন্স বা সুগারলেস চুইংগাম খেতে হবে। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলও মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। তাই এসব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। নিকোটিন হচ্ছে মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত এবং জিহ্বায় এ নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখগহ্বর অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। পান-সুপারি জর্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

বিশেষভাবে যা করবেন : দাঁত ব্রাশ করলেই শুধু ময়লা বা খাদ্যকণা পরিষ্কার হয় না। কারণ দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে বা মাড়ির ভেতরে ভেতরে অনেক সময় খাদ্যকণা জমা থেকে পচন শুরু হয়। তাই যাদের দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্য জমা হয় বুঝতে হবে, তাদের ডেন্টাল ফ্লস (এক ধরনের পিচ্ছিল সুতা) বা ডেন্টাল টুথ পিকস (এক ধরনের জীবাণু মুক্ত শলাকা)-এর সাহায্যে খাদ্য কণাগুলো বের করা প্রয়োজন। এই ডেন্টাল ফ্লস বা সুতো এবং জীবাণুমুক্ত শলাকা ব্যবহার বিধি একজন ডেন্টাল সার্জনের কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো। অনেক সময় এ ফাঁকগুলো ডেন্টাল ক্যারিজ বা মাড়ির রোগের কারণেও হতে পারে। তাই কোনো সিদ্ধান্তের আগে ডেন্টাল এক্স-রে করিয়ে নেওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী, সাম্মানিক উপদেষ্টা, বারডেম হাসপাতাল, উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

এ জাতীয় আরও খবর

ইয়েমেনের স্কুলবাসে হামলা ভুলে হয়েছে: সৌদি জোট

ইভিএম, ব্যবহারের চেয়ে কিনতে বেশি আগ্রহী ইসি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়  শ্রমিককে গামছা পেচিয়ে হত্যা

ইভিএমের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত : নৌমন্ত্রী

ঘুমানোর আগে যা ঠিক নয়!

রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু

সব পুরুষেরই করা উচিত যে ৫ স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ওজন কমাতে কাঁচামরিচ খাচ্ছেন তো?

নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে গড়িমসি চলবে না : রিজভী